Advertisement
Advertisement

Breaking News

সিএএ-আর্থিক মন্দা ধাক্কা দিলেও মোদিতেই মজে দেশ, বলছে সমীক্ষা

নাগরিকপঞ্জিকে সমর্থন জানিয়েছেন ৪৯ শতাংশ মানুষ।

Mood of the Nation 2020: Nations wants Modi again
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 24, 2020 12:06 pm
  • Updated:January 24, 2020 12:29 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক মন্দা থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদ। সময়টা খুব ভাল যাচ্ছে না দ্বিতীয় মোদি সরকারের। লোকসভায় ফের ইনিংস শুরু করার পর থেকেই আসছে একের পর এক বাউন্সার। গেরুয়া শিবিরের হাতছাড়া হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। বিরোধীরাও খানিকটা আত্মবিশ্বাস ফিরে নতুন করে ‘মোদিমুক্তি’র স্বপ্ন দেখছেন। তবে গণতন্ত্রে ভোটই শেষ কথা। আর এখনও দেশের চালক হিসেবে নমোকেই চাইছেন অধিকাংশই মানুষ (ভোটার)। সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের একটি সমীক্ষায় এমনটাই জানা গিয়েছে। 

ইন্ডিয়া টুডে ও কারভি ইনসাইটস-এর ‘মুড অফ দ্য নেশন’ সমীক্ষার জানুয়ারি ২০২০ সংস্করণে সাফ বলা হয়েছে, এখনও জনপ্রিয়তার শীর্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও আর্থিক মন্দা নমোর বর্মে কিছুটা আঘাত হানলেও, তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনও বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখনও নেই। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির কাজ ‘ভাল’ বা ‘খুব ভাল’ মনে করেন। ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে চাইছেন তাঁরা।

Advertisement

গেরুয়া শিবিরকে উজ্জীবিত করে এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আজই লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এনডিএ পাবে ৩০৩টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ পাবে ১০৮টি আসন। অর্থাৎ সরকার গড়তে গেরুয়া শিবিরের কোনও কষ্টই হবে না। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩৫৩টি আসন পেয়েছিল এনডিএ। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ৫০টি আসন খোয়াতে পারে শাসক দল। অবস্থার কিছুটা উন্নতি করে ১৫টি আসন বেশি পেতে পারে ইউপিএ।              

তবে দ্বিতীয় মোদি সরকারের গোটা পথই যে খুব মসৃণ নয় তারও ইঙ্গিত মিলেছে এই সমীক্ষায়। ইতিমধ্যে এনডিএ-র ভোট শেয়ার ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪১ শতাংশে।ইউপিএ-র ভোট শেয়ার বেড়েছে ২ শতাংশ। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ও মন্দা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ৩২ শতাংশ মনে করেন অর্থনীতি বাড়ছে, তবে তা আগের তুলনায় মন্থর। তবে অর্থনীতির দাড়িপাল্লায় ৫০ শতাংশ মনে করেন ইউপিএ সরকারের তুলনায় মোদি সরকার ভাল কাজ করেছে। ৩৭০ ধারার রদ নিয়ে ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন এতে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু, রাজ্যটির অস্তিত্ব লোপ করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলে মনে করেন ৫০ শতাংশ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ও নাগরিকপঞ্জিকে (NRC) যথাক্রমে সমর্থন জানিয়েছেন ৪১ ও ৪৯ শতাংশ মানুষ। সব মিলিয়ে এখনও কেন্দ্রে মোদি-শাহ জুটিকেই এগিয়ে রাখছে এই সমীক্ষা।   

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষ নয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কড়া বার্তা নয়াদিল্লির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement