Advertisement
Advertisement

Breaking News

গুলতিতে ঘায়েল, তাজমহলকে বাঁদরমুক্ত রাখতে নতুন ভাবনা

তাজমহলে এরা কী করে?

Monkey menace in Tajmahal
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 25, 2019 5:38 pm
  • Updated:January 25, 2019 5:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাঁদরামি’ ঘোচাতে গুলতির আঘাত। ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিসৌধের আশেপাশে কপিকুলের উৎপাত নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন উপায় বের করেছেন সিআইএসএফের জওয়ানরা। গুলতি দিয়ে বাঁদরদের ঘায়েল করার ভাবনাচিন্তা করছেন তাঁরা। এবার থেকে তাজমহলের সুরক্ষায় কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানদের হাতে রাইফেলের পাশাপাশি থাকবে গুলতি। বাঁদরদের বেশি আস্ফালন দেখলেই এক গুলতিতে কুপোকাত করে দেওয়া হবে।

আগ্রায় সম্রাট শাহজাহানের তৈরি সপ্তম আশ্চর্য সৌধ দেখতে গিয়ে বাঁদরের উৎপাত সহ্য করতে হয়নি, এমন বোধহয় খুবই কম। দিন যত গিয়েছে, ততই বাঁদরামি বেড়েছে। কখনও পর্যটকদের মেরেধরে খাবার কেড়ে নেওয়া, তো কখনও সঙ্গের জিনিসপত্র ছোঁ মেরে তুলে পালিয়ে যাওয়া। বিশেষত তাদের হামলার নিশানায় বিদেশি অতিথিরা। গত বছর তাজমহল দেখতে যাওয়া এক অস্ট্রেলিয়ান মহিলার পোশাক ধরে টেনে, ছিঁড়ে তাঁকে কাবু করে ফেলেছিল বাঁদরের দল। দুই ফরাসি নাগরিককেও মারধর করেছিল এরা। তাজমহলের প্রবেশপথ থেকে অন্দরমহল পর্যন্ত – বিশাল এলাকা যেন চারপেয়েদের দখলেই। তাদের জায়গায় মানুষের ভিড় মোটেই পছন্দ নয়। তাই এমন প্রতিরোধ। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানে যাকে বলে, মশা মারতে কামান দাগা, তেমনই হতে চলেছে। ঠিক হয়েছে, ‘বাঁদরামি’ ঠেকাতে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। সিআইএসএফ গুলতির সাহায্যে বাঁদরদের ঠেকাবে। পরিকল্পনা খানিকটা এরকম, তাজমহলের পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে থাকবে গুলতি। সিআইএসএফের কমান্ডান্ট ব্রিজ মোহন জানিয়েছেন, ‘বাঁদরদের ভয় দেখাতে গুলতি ব্যবহার করা হবে। সেইসঙ্গে, দর্শনার্থীদের জন্যও বেশ কয়েকটি শর্ত লাগু হচ্ছে। তাজমহলের ভেতরে কোনওরকম খাবার নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কারণ, খাবারের লোভেই তাঁদের ওপর হামলা চালায় বাঁদরবাহিনী।’

Advertisement

                                   কেন্দ্রের উচ্চবর্ণ সংরক্ষণ বিলের বৈধতা যাচাই করবে সুপ্রিম কোর্ট

যদিও শুরুতে বাঁদর তাড়ানোর উপায় হিসেবে গুলতির ব্যবহারের কথা ভাবা হয়নি। আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকের কথায়, ‘বাঁদর আর লেঙুরের সম্পর্ক আদায়, কাঁচকলায়। তাই প্রথমে ভেবেছিলাম, তাজমহল ঘিরে কিছু লেঙুরদের ছেড়ে দেওয়া হোক। তাদের দাপটেই দূরে সরে যাবে বাঁদরের দল। কিন্তু তা খুব সহজ কাজ ছিল না। তার আগেই সিআইএসএফ জওয়ানরা অন্য উপায় বের করলেন। গুলতি ব্যবহার করে ওদের দূরে সরানোর ভাবনা যথাযথ। তবে দেখতে হবে, যেন কোনও প্রাণী গুরুতর জখম না হয়।’ এবার থেকে দেশি, বিদেশি পর্যটকরা নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য ঘুরে দেখতে পারবেন। কোনও ‘বাঁদরামি’ সহ্য করতে হবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement