দেবশ্রী সিনহা: নতুন ডান্স বার আইন নিয়ে বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র সরকারকে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট৷ কড়াসুরে জানিয়ে দিল, কোনও ডান্স বারেই বার ডান্সারদের উদ্দেশে টাকা ওড়ানো যাবে না৷ মহিলাদের দিকে টাকা ওড়ানোর অর্থ তাদের সম্মানহানি৷ যা দেশের সভ্যতার বিরোধী৷ বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি সি নাগাপ্পনের মতে, এটি একটি পেশা৷ সেক্ষেত্রে বার ডান্সারদের প্রতি পেশাগত আচরণই হওয়া উচিত৷ বিচারপতি দীপক মিশ্রর কথায়, “বার ডান্সারদের উপর টাকা ওড়ানোর ক্ষেত্রে আপত্তি না থাকলেও, এ ধরনের কাজ মহিলাদের মর্যাদার বিরুদ্ধে৷”
মহারাষ্ট্র সরকারের দ্বারা ডান্স বার নিয়ে নতুন আইন তৈরি করার পরেই বার মালিকেরা ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন৷ যেখানে সেই আইনের কয়েকটি দিক নিয়ে তাঁরা প্রাণ তোলেন৷ বার মালিকদের পদ থেকে আইনজীবী জয়ন্ত ভুষণ জানতে চান, কেন সরাসরি বার ডান্সারদের টাকা দেওয়া যাবে না৷ তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, “যখন গায়ক গায়িকাদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়, তখন তা তাদের প্রতিভা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়৷ তাহলে বার ডান্সারদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় কেন?” এমনকী, নতুন আইনে বার ডান্সারদের, মাস মাইনের বাঁধা কর্মী হিসাবে বারগুলিতে চাকরিতে রাখতে বলা হয়েছে৷
সেই নিয়মের আপত্তি জানিয়ে ভুষণ বলেন, এঁরা প্রত্যেকেই শিল্পী৷ মাস মাইনের চাকরি করবেন কীভাবে৷ তিনি আদালতকে উদাহরণ দিয়ে জানতে চান, “ভীমসেন জোশিকে কি তাঁর গানের জন্য মাস গেলে মাইনে দেওয়া যায়?” পাশাপাশি তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অশ্লীল নাচের জন্য ইন্ডিয়ান পিনাল কোডে মাত্র তিন মাসের সাজার কথা বলা আছে৷ অথচ মহারাষ্ট্র সরকারের নতুন আইনে তা তিন বছর করে দেওয়া হয়েছে৷ নতুন আইনের বিভিন্ন দিক তুলে এই আইনকে খারিজ করার দাবি করেন বার মালিকরা৷ গত বছরের অক্টোবরে শীর্ষ আদালত মুম্বাইয়ে ফের ডান্সবার খোলার অনুমতি দিয়েছিল৷ পাশাপাশি, মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, এই সংক্রান্ত নতুন আইন তৈরি করতে৷ আদালত জানিয়েছিল, ডান্সবারকে শুধুমাত্র পেশা হিসেবে যেন নেওয়া হয়৷ বার ডান্সাদের যেন শিল্পী হিসাবে দেখা হয়৷ সেখানে যেন কোনও রকমের অশ্লীলতা বা কোনওভাবেই মহিলাদের সম্মানহানি না হয়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.