Advertisement
Advertisement

Breaking News

RSS

‘ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে সাহায্য করুন’, স্বয়ংসেবকদের কাছে আবেদন মোহন ভাগবতের

'১৩০ কোটি মানুষই ভারতমাতার সন্তান', বলছেন আরএসএস প্রধান।

Mohan Bhagwat Urges To Help All Without Discrimination Amid Pandemic
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:April 26, 2020 9:21 pm
  • Updated:April 26, 2020 9:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাসুরের তাণ্ডবে গোটা পৃথিবীজুড়ে হাহাকার চলছে। ভারতে এর সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে লকডাউন (Lock down)। এর ফলে জেরে প্রবল বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাধ্যমতো সাহায্য করছে আরএসএস ও তাদের একাধিক শাখা সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্যদের কর্তব্য কী হওয়া উচিত তা নিয়ে রবিবার বিকেলে অনলাইনের মাধ্যমে বার্তা দিলেন সংঘপ্রধান ড. মোহন ভাগবত। পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন মহামারির এই সময়ে ভেদাভেদ ভুলে সবার পাশে দাঁড়াতে হবে।

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মার্চ মাস থেকেই সঙ্ঘের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখা হয়েছে। জুন পর্যন্ত কোনও অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি পালন করা হবে না বলেও সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবার কাজ চলছে। যেসব জায়গায় লকডাউন রয়েছে সেখানে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কাজ করে যেতে হবে। এই মহামারিকে কোনওভাবে ভয় পেলে চলবে না। কারণ ভয় পেলে বিপদ আরও বেড়ে যায়। তাই এইসময়ে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে, নিজেকে সুস্থ রেখে অন্যের সেবা করতে হবে। অসহায় ও দুস্থ মানুষ যাতে কোনওভাবে ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয় তা দেখতে হবে। সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আর এটা করতে হবে সাহায্য নয় সেবার মানসিকতা নিয়ে। স্বার্থ, অহংকার বা নিজের খ্যাতি ছড়ানোর জন্য নয়, আত্মীয়তা ও সেবার মনোভাব নিয়ে আর্তের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যে ১৩০ কোটি মানুষই ভারতমাতার সন্তান। সবাই আমাদের আত্মীয় বা বন্ধু।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনে কাশ্মীরের পড়ুয়াদের জন্য নয়া উদ্যোগ, রেডিওতেই চলবে ক্লাস ]

 

ভারতের বিভিন্ন জায়গায় থাকা স্বয়ংসেবকদের এই সময়ে কী করণীয় তা বোঝাতে গিয়ে উপকার করছি এই মানসিকতা ত্যাগ করার পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সেবা ও স্নেহের মানসিকতা রাখতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, ভারত নিজের কিছুটা ক্ষতি করেও অন্য দেশকে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করেছে। এটাই ভারতের সংস্কার ও ঐতিহ্য। প্রাচীন এই ঐতিহ্য অনুসরণ করেই সেবা কাজ চালাতে হতে হবে। পাশাপাশি করোনা নামক এই মারণ ভাইরাসের থেকেও সাবধান হতে হবে। সবাইকে আয়ুষ মন্ত্রক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যা বলেছে তা মেনে চলতে হবে। নিজে সুস্থ থেকে সমাজ তথা গোটা পৃথিবীকে ভাল রাখতে হবে। আর যতদিন এই সংকট না কাটছে ততদিন দুস্থদের সেবা করতে হবে। মাঝ রাস্তায় এসে কোনওভাবেই হাল ছাড়লে চলবে না। করোনার মোকাবিলায় প্রথম থেকেই ভারত তৎপর ছিল বলে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তাই অসাবধান হলে চলবে না। আর অন্যের প্রতি রাগও কমাতে হবে। কারণ, মহামারির এই সময়ে ভারতবাসীর মধ্যে বিভেদ ছড়ানোর জন্য অনেকে কুৎসা করবে, অপপ্রচার চালাবে। যেমন টুকরে টুকরো গ্যাং। যারা বলেছিল, ভারতের হাজার টুকরো হবে। এই পরিস্থিতে তাদের থেকেও সাবধান হতে হবে। মহারাষ্ট্রে যে দুই সন্ন্যাসীকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁরা দেশহিতৈষী ছিলেন। মানুষের উপকার করতেন। তাই তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি দেশের পুর্নগঠনের জন্য সবাইকে একজোট হতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন সরসংঘচালক। বলেন, ‘লকডাউন উঠে গেলেও সবাই সতর্ক হয়ে কাজ করে যেতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কারখানা বা অফিসগুলিতে কাজ করতে হবে। স্কুল ও কলেজগুলিতে কী করে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করানো যায় তার পথ বের করতে হবে। দেশ পুনর্গঠনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সাধারণ মানুষকে জাগ্রত করতে হলে বুদ্ধিজীবীদের সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। সংকট স্বাবলম্বী হতে শেখায়। আশাকরি এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন আপনারা।’

[আরও পড়ুন: সংকটের মধ্যেও স্বস্তির খবর, প্লাজমা থেরাপিতে সম্পূর্ণ সুস্থ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement