সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারকে বিঁধে রাম মন্দির নিয়ে এবার জোরালো হুঙ্কার দিলেন আরএএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। শুক্রবার প্রয়াগরাজে বিশ্বহিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নেন তিনি। ভাগবত বলেন, ‘‘ওঁরা আসলে ভোটের জন্যই রাম মন্দির নিয়ে কথা বলে। ভোট ফুরোলেই সব ভুলে যায়। কিন্তু আমরা (সংঘ এবং পরিষদ) রাম মন্দির তৈরি করতে চাই বিশ্বাস ও ভালবাসা থেকেই। এই বিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা আছে আমাদের অন্তরে। সরকার যদি মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত না নেয় তবে, আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে আমরা রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে দেব।’’
[সেনেগালে ধরা পড়ল গ্যাংস্টার রবি পূজারি, দেশে ফেরানোর চেষ্টা দূতাবাসের ]
তবে ভাগবতের এই বক্তব্যে পেশের সময়ই ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন সভায় আগত শ্রোতারা৷ সংঘচালক ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পদাধিকারিদের, রাম মন্দির নির্মাণের দিন ঘোষণা করতে বলেন তাঁরা৷ সেখানে উপস্থিত গেরুয়াবসনধারী যুব থেকে প্রবীণ সন্ন্যাসী, প্রত্যেকেই মন্দির নির্মাণ শুরুর দিন জানতে চান তাঁদের কাছে৷। তাঁরা ভাগবতকে বলেন, ‘‘ভগবান শ্রীরাম আমাদের ভাবাবেগ। তিনি হিন্দু হৃদয় সম্রাট। আমরা মন্দির নিয়ে টালবাহানা মানব না। আপনি এখনই দিন ঘোষণা করুন। কেন আপনি দেরি করছেন? বাধা কোথায়? আর কতদিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে?’’ তাঁদের আশ্বাস দিয়ে ভাগবত বলেন, ‘‘চার মাস পরেই মন্দির তৈরির দিন ঘোষণা হবে এবং মন্দির তৈরির কাজ শুরু হবে।’’ এর আগে বুধবার হিন্দু ধর্মগুরু শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দ সরস্বতী জানিয়েছিলেন, ধৈর্য্যচ্যুতি হচ্ছে। তাই এক তরফাভাবে দিন ঘোষণা করে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে দিতে হবে। তিনি জানিয়েছিলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি সংঘ ও পরিষদের সদস্যরা একযোগে লং মার্চ করে অযোধ্যা যাবেন এবং মন্দির তৈরির জন্য শিলান্যাস করবেন।
[সেনা সুরক্ষায় বরাদ্দ তিন লক্ষ কোটি টাকা, বড় ঘোষণা মোদি সরকারের]
উল্লেখ্য, মন্দির ইস্যুতে আগেই সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তিনি জানিয়েছিলেন, শীর্ষ আদালত নির্দেশ বা রায় না দিলে সরকার এখনই আগ বাড়িয়ে কোনও অর্ডিন্যান্স জারি করবে না। কিন্তু আরএসএস প্রধান ভাগবতের এদিনের বক্তব্য ভোটের আগে সরকারের উপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ এর আগে সবরীমালা ইস্যুতেও আদালত বিরোধী মন্তব্য করে বিতর্ক জড়িয়েছিলেন সরসংঘ চালক। তিনি বলেছেন, সবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দেশের হিন্দু সমাজ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আয়াপ্পাকে শুধু কেরলবাসীই নন, দেশের সমস্ত হিন্দুরা পুজো করেন বলে দাবি করেন মোহন ভাগবত। সেখানে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। দীর্ঘ বছর ধরে চলে আসা সেই রীতিতে ছেদ টেনে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
#WATCH: Ruckus ensued after RSS chief Mohan Bhagwat’s speech at the Dharm Sansad called by VHP in Prayagraj, protesters were demanding early construction of Ram temple in Ayodhya. pic.twitter.com/IGnOxThHuq
— ANI UP (@ANINewsUP) February 1, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.