সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ বছর জেলে কাটানোর পর অবশেষে বাড়ির লোকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেন মহম্মদ হুসেইন ফাজিলি। ২০০৫ সালে দিল্লির ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মামলায় এতদিন জেলে বন্দি ছিলেন। তবে গত বৃহস্পতিবার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হন তিনি।
বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে স্বভাবতই আপ্লুত ফাজিলি। এরপরেই তিনি বলেন, ‘যে কাজটি আমি করিনি সেই কাজের জন্য আমাকে শাস্তি পেতে হল। কেন আমাকে এই শাস্তি দেওয়া হল?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি বলেন, ‘যাদের জন্য এতদিন কোনও দোষ না করেও আমাকে জেলে থাকতে হল, তাদের জিজ্ঞাসা করা হোক, কেন আমার সঙ্গে তারা এরকম করল? সেটাই হবে সঠিক ন্যায়।’
পেশায় শাল প্রস্তুতকারক ছিলেন ফাজিলি। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার পর আর নিজের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। ফাজিলিকে গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছিল, কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তাতেই কেটে যায় ১২ বছর। যদিও সব ভুলে ছেলের বাড়ি ফেরায় খুশি তাঁর মা-বাবা। ফাজিলির বাবা গুলাম রসুল ফাজিলি বলেন, ‘আমাদের বয়স হয়েছে। আগের মত কাজ করার শক্তি নেই। তাছাড়া আমি এখন চোখেও কম দেখি।’ ফাজিলির মা ফাতিমার কথায়, ‘আমাদের কাছে ছেলের এটা পুনর্জন্ম হল।ভগবানকে অনেক ধন্যবাদ।’
২০০৫ সালে, ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল রাজধানী দিল্লির সরোজিনীনগর, কালকাজী ও পাহাড়গঞ্জ এলাকা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৭ জন। আহত হয়েছিলেন ২০০ জনেরও বেশি। তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয় তারিক আহমেদ দার, মহম্মদ রফিক শাহ ও মহম্মদ হুসেন ফাজিলিকে। গত বৃহস্পতিবার রায়ে মূল অভিযুক্ত তারিক আহমেদ দারকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের সাজা দিয়েছিল আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.