সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act, 2019) নিয়ে গোটা ভারত যখন উত্তাল, তখন দেশে ছিলেন না রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কদিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন সরকারি সফরে। দেশে ফিরে ফের সক্রিয়তা দেখানো শুরু করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভের আবহে শান্তির বার্তা দিলেন তিনি। দেশের যুবসমাজের উদ্দেশে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির আহ্বান, আপনারা ভালবাসা দিয়ে হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করুন।
রবিবার এক টুইট বার্তায় রাহুল বলেন, “প্রিয় ভারতের যুবসমাজ। মোদি এবং শাহ আপনাদের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিয়েছে। বেকারত্ব এবং অর্থনীতি ইস্যুতে ওঁরা আপনাদের ক্রোধের সম্মুখীন হতে পারবে না। সেজন্যই, ওঁরা আমাদের প্রিয় দেশকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। এবং ঘৃণার আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে রাখছেন। ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র উপায় হল, প্রত্যেক ভারতীয়কে ভালবাসা।” উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেও একই রকম একটি টুইট করেন কংগ্রেস নেতা। সেসময় তাঁরা বার্তা ছিল, অহিংসা ও সত্যাগ্রহই মোদি-শাহর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র অস্ত্র।
Dear Youth of 🇮🇳,
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) December 22, 2019
Modi & Shah have destroyed your future.They can’t face your anger over the lack of jobs & damage they’ve done to the economy. That’s why they are dividing our beloved 🇮🇳& hiding behind hate.
We can only defeat them by responding with love towards every Indian.
এনআরসি তথা সংশোধিত নাগরিকত্ব ইস্যুতে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন সিএএ-বিরোধী আন্দোলন গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে, তখন আশ্বর্যজনকভাবে অনুপস্থিত কংগ্রেস। দলের শীর্ষনেতারা তো বটেই, স্থানীয় স্তরের নেতাদেরও সেভাবে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। গতকালই, নির্বাচন কৌশলী প্রশান্ত কিশোর সিএএ আন্দোলনে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একা প্রশান্ত কিশোর নন, বিরোধী শিবিরের অন্দরেই প্রশ্ন, রাহুল এতদিন কোথায় ছিলেন। স্রেফ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েই কি কাজ শেষ হয়?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.