সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হিন্দুত্ববাদী দল’ বিজেপির গায়ে এই তকমা লেগে গিয়েছে প্রতিষ্ঠালগ্নেই। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় রাজনীতিতে কার্যত অচ্যুত ছিল বিজেপি, সাম্প্রদায়িক তকমা লেগে যাওয়ার ভয়ে বিজেপির সঙ্গে জোটে যেতে চাইত না কোনও প্রথম সারির রাজনৈতিক দল। সেই সাম্প্রদায়িকতার তকমা ঘোচাতে এখনও মরিয়া গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহরা মুসলিম মহিলাদের মন পেতে তিন তালাক প্রথা তুলে দিতে প্রথম পদক্ষেপ করে বিজেপি সরকারই। কিন্তু তাতে যে চিড়ে ভেজেনি মেনে নিচ্ছেন খোদ সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। তিনি বললেন, সংখ্যালঘুদের মন পেতে আরও অনেক কাজ করতে হবে মোদি সরকারকে।
একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাকভি বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের মন পেতে গেলে আমাদের এখনও অনেক কাজ করতে হবে।‘ তবে এর জন্যও তিনি দায়ী করেছেন পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকেই। নাকভি বলেন, ’৭০ বছর ধরে মুসলিমদের মধ্যে ঘৃণার বিষ ছড়ানো হয়েছে। তবে আমরা সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। সরকারের ভাল প্রকল্পগুলি সংখ্যালঘুদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’ তবে, আগামী দিনে যুবসমাজ তাদের পাশে থাকবে বলেও আশাবাদী সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী।
সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের কাছে টানতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। রমজান চলাকালীন বেশ কিছু বিজেপি নেতাকে দেখা গিয়েছে ইফতার পার্টিতে অংশ নিতে। নাকভি নিজেও তিন তালাকের শিকার মহিলাদের নিয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করতে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি শহরে গিয়ে মসজিদে গিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির যে মুসলিমদের প্রতি আর কোনও ছুঁৎমার্গ নেই তা বোঝাতে মরিয়া গেরুয়া ব্রিগেড। কিন্তু তাতে যে খুব একটা সুবিধা হয়নি তা বোঝা গিয়েছে সম্প্রতি উপনির্বাচনগুলিতে। মুসলিম অধ্যূষিত কৈরানা, নূরপুরে বিরোধীদের কাছে পরাস্ত হতে হয়েছে বিজেপিকে, এমনকি কর্ণাটকেও সংখ্যালঘুদের সমর্থন না পাওয়াই কাল হয়েছে বিজেপির। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন গুলির ফলই হয়তো আত্মপোলব্ধিতে সাহায্য করল নাকভিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.