সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Extradition)। বৃহস্পতিবার ভারতে এসে পৌঁছেছে সে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস দাবি করল, মোদি সরকার এই প্রত্যর্পণের পুরো কৃতিত্ব নিতে চাইলেও এটা আসলে ইউপিএ সরকারের আমল থেকে চলতে থাকা কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রচেষ্টার ফল। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম একটি বিবৃতিতে এমনই দাবি করেছেন।
চিদাম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীনই এনআইএর হাতে মুম্বই হামলার তদন্তভার যায়। আর সেকথা মনে করিয়ে তিনি জানিয়েছেন, রানার এই প্রত্যর্পণ কোনও কড়া নেতৃত্বের সুফল নয়। তা আসলে বছরের পর বছর কড়া পরিশ্রমের ফলে দেওয়া ধাক্কায় ন্যায়ের চাকার ধীরগতিতে এগিয়ে চলারই ফলশ্রুতি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রানাকে দেশে ফেরানো মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। এবং সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ”যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি।” আর এহেন মন্তব্যেরই কার্যত জবাব দিয়েছেন চিদাম্বরম।
তিনি বলেছেন, ”এই প্রত্যর্পণ দেড় দশকের কড়া কূটনৈতিক, আইনি এবং গোয়েন্দাদের প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি। যা ইউপিএ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে শুরু করেছিল এবং বজায় রেখেছিল।” তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, মোদি সরকার এই প্রক্রিয়া যেমন শুরু করেনি, তেমনই নতুন কোনও মোড়ও আনতে পারেনি। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর এনআইএ দিল্লিতে ডেভিড কোলম্যান হেডলি, তাহাউর রানা ও ২৬/১১ হামলার বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই মামলার তদন্ত করা শুরু করে। আর সেই মাসেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে এই বিষয়ে হাত মিলিয়ে কাজ করতে রাজিও হয়ে যায়। সেই সঙ্গেই চিদাম্বর জানিয়েছেন, যখন শিকাগোয় রানার গ্রেপ্তারির পর তার বিরুদ্ধে আনার কয়েকটি অভিযোগের ধারা সরিয়ে দেওয়া হয়, তখনও ভারত এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। এবং তারপর থেকে কূটনৈতিক ও আইনি পথে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.