বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নিশানায় এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পছন্দের প্রকল্প ‘স্বচ্ছ্ব ভারত মিশন’। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র সরকার নিজেদের সাফল্যের খতিয়ান হিসাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে রেখেছে। কিন্তু এই প্রকল্পের আসন চিত্রটা ঠিক কী তা জানতে চেয়েই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের কাছে একগুচ্ছ প্রশ্ন রেখেছিলেন অভিষেক।
তার মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন ছিল গ্রামে গ্রামে শৌচালয় তৈরি হলেও গ্রামাঞ্চলে জনশৌচালয়ের ব্যবহার বাড়াতে কী পদক্ষেপ হয়েছে এবং জনশৌচালয়ে জলের সমস্যা এবং বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানতে চান এ বিষয়ে কোনও নিরপেক্ষ সমীক্ষা করা হয়েছিল কিনা। হয়ে থাকলে তাতে কী তথ্য উঠে এসেছে।
অভিষেকের প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে জবাব দেওয়া হয়েছে তার সারমর্ম হল– শৌচাগার তৈরি করা থেকে শুরু করে তার ব্যবস্থাপনা, সবকিছুই রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র শৌচাগার তৈরির টাকা এবং নির্দেশ দিয়ে থাকে। অভিষেকের প্রশ্ন তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যে আগামী বছরের প্রথম দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগেই গ্রামে গ্রামে শৌচাগার তৈরি করা নিয়ে কেন্দ্র যে প্রচার করে থাকে, সেগুলিকে মানুষের ব্যবহারযোগ্য করে রাখার কাজ রাজ্য সরকারই যে করে আসছে– কেন্দ্রের বক্তব্যেই তা স্পষ্ট হয়ে গেল।
এদিকে, সংসদে রাজ্যের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন থেকে শুরু করে ‘জিরো আওয়ারে’ সরব হওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয় তাদেরকেও জমি অধিগ্রহণ আইনের আওতাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে পরামর্শ দিয়েছেন। ‘জিরো আওয়ারে’ বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল তফসিলি জাতি, উপজাতি ও সংখ্যালঘুদের বৃত্তি বন্ধের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন, আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার রাজ্যের গোবিন্দভোগ চালের উপর শুল্ক তুলে নেওয়ার দাবি করেছেন।
রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে জহর সরকার ‘প্রসার ভারতীর’ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ উল্লেখ পর্বে, দোলা সেন নতুন পেনশন প্রকল্পের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। শান্তা ছেত্রী চা বাগানের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বাংলার দুই সাংসদ তৃণমূলের মালা রায় এবং বিজেপির খগেন মুর্মু মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গার ভাঙন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যের ঘাড়ে দায় ঠেলে দিয়ে টাকা এবং প্রযুক্তিগত সাহায্য কেন্দ্রের তরফ থেকে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.