Advertisement
Advertisement
NPE

৩৪ বছর পর দেশের শিক্ষানীতিতে বড় পরিবর্তন আনল কেন্দ্র

স্কুল-কলেজের নিয়মে কী কী পরিবর্তন হল?

Modi government has changed National Education Policy after 34 years
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 29, 2020 7:57 pm
  • Updated:July 29, 2020 8:04 pm  

নন্দিতা রায় ও দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়দিল্লি: ৩৪ বছর পর বদল এল জাতীয় শিক্ষানীতিতে (National Education Policy)। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, শিক্ষাব্যবস্থার খোলনলচে বদলে ফেলা হল এই নয়া নীতিতে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রের তরফে এই পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়। নয়া নীতিতে শিক্ষার অধিকারের আওতায় আনা হয়েছে ৩ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়াদের। পাশাপাশি বদল ঘটানো হল পরীক্ষা ব্যবস্থায়। এমনকী আমূল বদলে গিয়েছে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাও। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, কী কী বদল এল, দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে

  • মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদলে হল শিক্ষামন্ত্রক। স্বাধীনতার পর থেকে এই নামেই পরিচিত ছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। পরে ১৯৮৫ সালে বদল করা হয়। 
  • নতুন শিক্ষানীতিতে সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার। এর আওতায় আনা হয়েছে ৩ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়াদের।
  • নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে গুরুত্বহীন দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পড়ুয়াদের  মুখস্থ বিদ্যার বদলে হাতেকলমে শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে ।
  • প্রতিবছরের বদলে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ। 
  • দশম শ্রেণির পর কলা বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ বা বাণিজ্য বিভাগের তফাৎ উঠে যাচ্ছে।
  • পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়লেও, থাকতে পারে সংগীত । পদার্থবিদ্যা, রসায়ন নিয়ে পড়লেও, ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার সুযোগ।
  • পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা/আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা বাধ্যতামূলক। কারোর উপর জোর করে কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।
  • অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা/আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষায় ঐচ্ছিক।
  • দ্বাদশ শ্রণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৮টি সেমিস্টারের প্রস্তাব।
  • ৫+৩+৩+৪ ভাগে ১৫ বছরের স্কুল স্তরে পড়াশোনা। এর মধ্যে তিন বছর প্রি স্কুল পড়াশোনার সুপারিশ।
  • উচ্চশিক্ষার তত্ত্বাবধানে একটিই নিয়ন্ত্রক সংস্থা, হায়ার এডুকেশন কাউন্সিল (HECI)। তবে তার আওতায় থাকবে না মেডিক্যাল ও আইনি শিক্ষা। 
  • স্নাতক স্তরে অনার্স কোর্স ৪ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তবে প্রতি বছরের শেষে পড়ুয়ারা পাবেন সার্টিফিকেট। কোর্স শুরুর ১২ মাসের মধ্যে পড়াশোনা ছেড়ে দিলে পড়ুয়া পাবেন ভোকেশনাল কোর্সের সার্টিফিকেট। দুবছর বা ২৪ মাস পর ছাড়লে ফিলবে ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট। আর চার বছরের কোর্স করলে পাওয়া যাবে ডিগ্রি কোর্সের সার্টিফিকেট। ফলে চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
  • ১ অথবা ২ বছরে স্নাতকোত্তরের সুপারিশ।
  • উঠে যাচ্ছে এমফিল। 

[আরও পড়ুন : বদলে গেল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম, ছাড়পত্র দিল মন্ত্রিসভা]

ইসরোর প্রাক্তন প্রধানমনের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশের উপর ভিত্তি করে আরও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বুধবার সেই সমস্ত সুপারিশে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তবে এই শিক্ষানীতি রাজ্যগুলি মানবে কি না, তা একদমই রাজ্যগুলির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কারণ সংবিধান বলছে শিক্ষা রাজ্যের বিষয়।

Advertisement

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement