সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় মোদি সরকার গঠনের পর থেকে একবারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়নি। অথচ, এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের বহু নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের আশায় বসে আছেন। আবার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই একসঙ্গে একাধিক মন্ত্রক সামলাচ্ছেন। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতির বদল চাইছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। বেশ কিছু নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে।
সদ্যই প্রয়াত হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য রামবিলাস পাসওয়ান এবং সুরেশ অঙ্গদি। এছাড়াও মন্ত্রিসভার দুটি করে জায়গা ফাঁকা করে NDA ছেড়েছে শিব সেনা এবং আকালি দল। এছাড়াও পীযুষ গোয়েল, নরেন্দ্র সিং তোমরের মতো মন্ত্রীরা একসঙ্গে একধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলাচ্ছেন। তাঁদের বোঝাও হালকা করবে সরকার। অর্থাৎ, একসঙ্গে মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকজনকে জায়গা দেওয়া হবে।
কাদের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা?
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া: সদলবলে কংগ্রেস (Congress) থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েও কোনও পুরস্কার এখনও পাননি সিন্ধিয়া। এবার তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
দীনেশ ত্রিবেদী: এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীরও জায়গা দেওয়া হতে পারে মন্ত্রিসভায়। যদিও, তিনি এখন সাংসদ নন।
ভুপেন্দ্র যাদব: বিজেপির সাংগঠনিক স্তরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা। রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সদস্য তিনি। তাঁকেও এবার মন্ত্রী করা হতে পারে।
বরুণ গান্ধী: বরুণের মা মানেকা গান্ধীকে (Maneka Gandhi) এবার মন্ত্রী করেনি বিজেপি। শোনা যাচ্ছে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা গান্ধী পরিবারের সদস্য সঞ্জয় গান্ধীর পুত্র জায়গা পেতে পারে মোদি মন্ত্রিসভায়।
শেরিং নামঘিয়াল: সংসদে ২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীর বিভাজন বিল নিয়ে আলোচনার সময় জোরাল ভাষণ দিয়েছিলেন লাদাখের সাংসদ শেরিং নামঘিয়াল। এবার তাঁকেও মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে।
এঁরা ছাড়াও মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি (Sushil Modi), অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, এরাজ্যের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.