সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রঙ চড়াল মধ্যপ্রদেশের রাজনীতির নাটক। ‘হাত’ ছেড়ে বুধবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর দল ত্যাগের সঙ্গেই প্রায় ২২ জন বিধায়ক ইস্তফাপত্র জমা দেন। তবে সেই ইস্তফাপত্র স্পিকার গ্রহণ করবেন কিনা তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল রাজনীতির অন্দরে। এবার সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে মধ্যপ্রদেশের স্পিকার জানান, ই-মেল নয় সশরীরে গিয়েই জমা দিতে হবে ইস্তফাপত্র।
সোমবার রাত থেকেই মধ্যপ্রদেশে চড়তে থাকে রাজনীতির পারদ। সোমবার গভীর রাতে ১৯ জন বিধায়ক নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দেন কমল নাথের কাছে। তাদের সেই ইস্তফাপত্রকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর আরও তিনজন বিধায়ক ইস্তফাপত্র জমা দেন মধ্যপ্রদেশ স্পিকারের কাছে। তবে রাজনীতির দোলাচলে উত্তেজনা বাড়ল যখন বুধবার মধ্যপ্রদেশের স্পিকার এনপি প্রজাপতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “আমি যা করার আইন মেনেই করব। আইনের বাইরে যেতে পারব না। আর আইন অনুযায়ী, বিধায়ক পদ ছাড়তে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে স্পিকারের সামনে হাজির হয়েই ইস্তফা দিতে হয়।”
স্পিকার এনপি প্রজাপতি আরও বলেন, “দু-একদিনের মধ্যেই ওই ২১ জন বিধায়ককে ডেকে পাঠানো হবে। নিয়ম অনুযায়ী জানতে চাওয়া হবে কী কারণে তাঁরা বিধায়ক পদ ছাড়তে চাইছেন। তাঁরা যদি পদত্যাগ করতে চান তখনই তাঁরা আমার কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন। মেল করলে সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করব না।” এরইমধ্যে ওই ২১ জন বিধায়কের অধিকাংশই সোমবার বেঙ্গালুরু চলে যান একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার আরও ৪ কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা যায়।
বুধবার অবশ্য সকাল থেকেই ‘হাত’ ও গেরুয়া শিবির নিজেদের বিধায়কদের সুরক্ষিত করে রাখতে অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কংগ্রেসের ৮৮ জন বিধায়কদের জয়পুরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি ছিল না পদ্ম শিবিরও। তারাও নিজেদের ঘর আগলাতে বিজেপি বিধায়কদের গুরুগ্রামের মানেসরের হোটেলে নিয়ে যায়। তবে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে গেলে কমল নাথের সরকার যে বালির বাঁধের উপর টিকে নেই তা এদিন আশ্বাসের সুরে জানান মধ্যাপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.