সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজবের জেরে ফের গণপিটুনি। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার আদিবাসী গ্রামে চোর সন্দেহে তিনজনকে আটক করে গ্রামবাসীরা। এরপরই শুরু বেধড়ক গণধোলাই। গাড়ি লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। পুলিশ খবর পেয়ে তিনজনকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁদেরও মারধর করে উন্মত্ত জনতা। এমনকী পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তিন আক্রান্তকে হাসপাতালে ভরতি করে পুলিশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাড়িচালকের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনা ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শেষপর্যন্ত ৩০ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করে কাসা পুলিশ। প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় এর আগে এক চিকিৎসককে লক্ষ্য করে পাথর
লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। হাতে টাকা নেই। তাই তাঁরা নাকি চুরি-ডাকাতি করতে পারেন! এমনকী সেই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গ্রামে তাঁরা হানা দিচ্ছেন বলে গুজবও ছড়ায়। সেই আশঙ্কায় রাতে পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা। আর সেই গুজবের জেরেই প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও দুজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই গ্রামের মধ্যে দিয়ে একটি গাড়ি যাচ্ছিল। সেখানে চালক ছাড়াও আরও দুজন ছিলেন। গ্রামবাসীরা গাড়িটিকে আটকান। জিজ্ঞাসাবাদ না করেই চলে ইট, পাথরের বৃষ্টি। গাড়ি থেকে তিনজনকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে চলে বেধড়ক মারধর। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে তিনজনকে উদ্ধার করতে যায়। উন্মত্ত জনতা পুলিশকেও আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, ওই তিনজনকে ডাকাত ভেবেছিলেন তারা। এই ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের এপিআই আনন্দরাও কালে বলেন, “ওই তিন ব্যাক্তি নাসিক থেকে আসছিলেন। দাভাধি-কানভেল এলাকায় গাড়িটি আটকে ২০০ জন আদিবাসী চড়াও হয়।” প্রসঙ্গত, এর আগে ওই এলাকায় এক চিকিৎসক ক্যাম্প করে ফেরার সময় চার পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.