সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কার মাঝেই কিছুটা স্বস্তিতে কর্ণাটক সরকার। উধাও হয়ে যাওয়া ৫ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ৩ জনের খোঁজ মিললেও ২ জনের ভূমিকায় রীতিমতো সংকটে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। তবে তাঁকে স্বস্তি দিয়ে বুধবার বিকেলে ফিরলেন ওই দু’জন। অন্দরের খবর, দল ছেড়ে বেরনোর জন্য নাকি তাঁদের উপর চাপ তৈরি করেছিল বিজেপি। মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও ছিল। কিন্তু সে আশা পূরণ হয়নি। ফের গুটি গুটি পায়ে ঘরেই ফিরে এসেছেন কংগ্রেস বিধায়করা।
সপ্তাহের শুরু থেকে জোট সরকারের কর্ণাটকে সংকট তৈরি হয়েছে। ৫ জন বিধায়ক আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান। পরে জানা যায়, তাঁরা মু্ম্বইয়ের হোটেলে রয়েছেন। এরপরই জল্পনা উসকে ওঠে, রাজস্থান বা উত্তরাখণ্ডের কায়দায় বিধায়কদের ‘অপহরণ’ করে নিজেদের দলে টানতে চাইছে বিজেপি। এই অভিযোগে সরব হয়ে ওঠে কংগ্রেস। ‘অপারেশন লোটাস’ অর্থাৎ পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ানোর কর্মসূচি সফল করতে এই পদক্ষেপ বলেও অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেস মুখপাত্র ডি কে শিবকুমার জানান, ‘আমরা সব খবরাখবর রাখছি। কী যড়যন্ত্র চলছে, আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্যদের কত টাকা অফার করা হয়েছে, তাও জানি।’ এমন আশঙ্কাও তৈরি হয় যে বিধায়কদের দলবদলে সরকার ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। খবর জানতে পেরে নড়েচড়ে বসে দিল্লির হাইকমান্ড। পরিস্থিতি বুঝতে বর্ষীয়ান, নির্ভরযোগ্য সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠানো হয় বেঙ্গালুরুতে। পরে তিনজনের খোঁজ মিললেও, ২ জনকে নিয়ে সংশয় বাড়তে থাকে।
[অচলায়তন ভেঙে নজির, ‘নিষিদ্ধ’ অগস্ত্যকোডমে পা রাখলেন এক মহিলা়
এসবের মধ্যে আবার মঙ্গলবার জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেন ২ নির্দল বিধায়ক। পালটা বিজেপি অভিযোগ তোলে, এবার জেডিএস ঘোড়া কেনাবেচায় নেমেছে। ২ জনের সমর্থন পেতে তাঁদের কিনতে চাইছে। সূত্রের খবর, নিজেদের বিধায়কদের সুরক্ষিত রাখতে গুরুগ্রামের হোটেলে সবাইকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও কারণ হিসেবে বিজেপির সাফাই, আসন্ন লোকসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে তাঁদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হলেও, তা প্রকাশ্যে আনেননি মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। উলটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর দাবি, ‘কোনও টালমাটাল পরিস্থিতি নেই। সকলেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমরা রিলাক্সড আছি।‘ গত বছরের এপ্রিলে কর্ণাটকে কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে জেডিএস সরকার গঠনের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে সেই আশঙ্কাই ফের উসকে উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.