সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর প্রায় এক বছর কাটতে চলল, কিন্তু কাশ্মীরে অশান্তি থামার নাম নেই। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সংঘর্ষ। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের মতে, কাশ্মীরি যুবকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে, পাশাপাশি ভুল খবরও রটানো হচ্ছে আর সেকারণেই অস্ত্র তুলে নিচ্ছে তাঁরা।
তেলেঙ্গানার দুন্দিগালের বায়ুসেনা ঘাঁটির একটি অনুষ্ঠানে শনিবার যোগ দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। সেখানেই কাশ্মীরের অল্পবয়সি যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কিছু ভুল খবর রটানো হচ্ছে। আর এই খবরগুলির কারণেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমার মনে হয় এই ভুয়ো খবরগুলির কারণেই যুব সম্প্রদায় হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। তবে আশা করছি, ওরা খুব দ্রুতই নিজেদের ভুলটা বুঝতে পারবে।’
সম্প্রতি দক্ষিণ কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়েও মুখ খোলেন সেনাপ্রধান। তাঁর মতে, কাশ্মীরের এই অঞ্চলের পরিস্থিতি খুব খারাপ এবং মোকাবিলা করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ করবে সেনা। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কাশ্মীরের কিছু কিছু অংশে সমস্যা রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে নিরাপত্তা বাহিনী। মানুষের জীবন আমাদের কাছে অনেক দামী। এছাড়া কোনওভাবেই যাতে মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ না হয়, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি।’
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আচাবল থানার স্টেশন হাউস অফিসার-সহ ছয়জন পুলিশকর্মী একটি টাটা সুমোয় চেপে অনন্তনাগ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময় আচমকাই পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় পাঁচজন জঙ্গি। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে শুরু হয় গুলিবর্ষণ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছয় পুলিশকর্মীর। মারা যান দু’জন স্থানীয় বাসিন্দাও। ঘটনার পর গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলেন পুলিশ ও সেনাকর্মীরা। যদিও জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সেনা সূত্রে খবর, অনন্তনাগে আরওয়ানি গ্রামে যেখানে পুলিশ ও সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে, সেখান থেকে মাত্র ১৭ কিমি দূরেই পুলিশের গাড়িতে এই জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এস পি বেদ জানিয়েছেন, জঙ্গিরা খুব কাছ থেকে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং পাঁচটি এ কে ৪৭ রাইফেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.