সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৬৫ সালে ভারতকে যুদ্ধবাজ দেশ হিসেবে দেগে দিয়েছিল পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম। পাকিস্তানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংসদে তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যশবন্তরাও চভনের রুখে দাঁড়ানোর বার্তাকে পেশিশক্তিক আস্ফালন হিসেবে তুলে ধরেছিল মার্কিন দৈনিকগুলি। লেখক-গবেষক ডি আর মানকেকার তাঁর বই ‘২২ ফেটপুল ডেজ-পাকিস্তান কাট টু সাইজ’-এ এই সমস্ত ভণ্ডামি তুলে ধরেছেন তিনি। এবার ফের কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে একটি বিতর্কিত মতামত প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে’।
সম্প্রতি আমেরিকার প্রথমসারির দৈনিকটিতে ‘দ্য কাশ্মীর টাইমসের’ সম্পাদক অনুরাধা ভাসিনের একটি মতামত প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ভূস্বর্গে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোটা দেশেই সংবাদমাধ্যমগুলির উপর সেন্সরের খাঁড়া নেমে এসেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অনুরাধা ভাসিনের কথায়, ‘দ্রুত গোটা ভারতের অবস্থা কাশ্মীরের সতো হয়ে যাবে।’ এর ফলে রীতিমতো জলঘোলা হতে শুরু করেছে। ভারতের শাসকদল ও সরকার ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে’র উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে নিউ ইয়র্ক টাইমস-কে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর তোপ, ওই প্রতিবেদন কল্পনাপ্রসূত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। টুইটারে আনুরাগ লেখেন, ‘ভারতকে নিয়ে লেখা নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনগুলি থেকে নিরপেক্ষতা বহুকাল আগেই লোপ পেয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে তাদের প্রতিবেদন কল্পনাপ্রসূত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এহেন এজেন্ডা ভারতীয়রা মেনে নেবে না।’
উল্লেখ্য, বিশ্লেষকদের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের (Kashmir) বিশেষ মর্যাদা রদ করা থেকে শুরু করে গোরক্ষার নামে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনগুলি সরব হয়েছে। বিরোধি রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলিও মোদি সরকারের সমালোচনা করেছে। কিন্তু, কোনও চাপেই যে ভারত নিজের নীতি পরিবর্তন করবে না তা স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.