সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্তাল্পতায় ভুগছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে একের পর এক যুদ্ধবিমান। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়টি খতিয়ে না দেখে সাফাই দিচ্ছেন প্রতিরক্ষা নির্মলা সীতারমণ। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ১০ বছরের শাসনে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির উন্নয়ন না হওয়ার নেপথ্যে ইউপিএ। মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়ন ধাক্কা খাবে না।
[বেঙ্গালুরুতে ভেঙে পড়ল যুদ্ধবিমান, দগ্ধ হয়ে মৃত্যু পাইলটের]
রবিবার, মিরাজ দুর্ঘটনায় উদ্বেগের চাইতে দায় এড়ানোর সুরই যেন শোনা গেল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, ১০ বছরের শাসনে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির উন্নয়ন না হওয়ার নেপথ্যে ইউপিএ। তবে এই ঘটনায় কোনওভাবেই ধাক্কা খাবে না দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়ন। মোদি সরকারের জামানায় দেশের প্রতিরক্ষাকে কোনওভাবেই অবহেলা করা হয় না। তবে সীতারমণ যাই দাবি করুন না কেন, হ্যাল-সহ একাধিক দেশীয় যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থাগুলি কার্যত ধুকছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হালকা যুদ্ধবিমান তেজস এখনও লড়াইয়ে প্রস্তুত নয়। বিমানটির মান নিয়েও অসন্তুষ্ট বায়ুসেনা। ফলে ফ্রান্স থেকে অত্যাধুনিক রাফালে বিমান কিনতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছে দেশ। এছাড়াও রাইফেল থেকে শুরু করে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পর্যন্ত আমদানি করতে হচ্ছে সরকারকে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বেঙ্গালুরুতে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার বোমারু বিমান মিরাজ-২০০০। প্রাণ হারান দুই পাইলটই। বেঙ্গালুরুতে হ্যালের নিজস্ব বিমানবন্দরে মহড়ায় অংশ নিয়েছিল যুদ্ধবিমানটি। ফ্রান্সে তৈরি বিমানগুলি কয়েক দশক থেকে রয়েছে বায়ুসেনার হাতে। সদ্য বিমানগুলির এভিওনিক্স ও উইপনস সিস্টেম আপগ্রেড করা হয়েছে। তার পরও দুর্ঘটনা ঘটায় উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ৩২২ কিমি দুরে ভেঙে পড়েছিল বায়ুসেনার জাগুয়ার যুদ্ধবিমান। সেবার বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন পাইলট। এমনিতেই অপর্যাপ্ত বিমান রয়েছে বায়ুসেনার হাতে, তারপর একের পর এক দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে দেশের নিরাপত্তা।
[৩ লক্ষ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণ আদায়ে সক্ষম কেন্দ্র, দাবি গোয়েলের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.