সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, রাখে হরি, মারে কে? বাস্তবে ঠিক তেমনই ঘটনা ঘটল তেলেঙ্গানায়। কনকনে ঠান্ডায় রাতভর কুয়োয় পড়ে থেকেও প্রাণে বেঁচে গেল এক সদ্যোজাত। দিব্যি সুস্থ রয়েছে শিশুটি। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। সোমবার ওই সদ্যোজাতকে চাইল্ড ডেভালপমেন্ট সার্ভিসের আধিকারিকদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মেডক জেলার কাগজ মাদ্দুর গ্রামে।
[চার বছরের খুদে পড়ুয়াকে ‘পাগল’ বলে হেনস্তা, অভিযুক্ত শিক্ষক]
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে গ্রামের একটি কুয়োর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান কয়েকজন গ্রামবাসীরা। গ্রামের অন্য বাসিন্দাদের খবর দেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যেই একজন দড়ির সাহায্যে কুয়োয় নেমে শিশুটিকে তুলে আনেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক শ্রীনিবাস রেড্ডি জানিয়েছেন, ‘শনিবার রাতে জন্মের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই সদ্যোজাতকে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়। সৌভাগ্যবশত, শিশুর গুরুতর কোনও আঘাত লাগেনি। খবর পাওয়া মাত্রই আমরা অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।’ কিন্তু, কারা ওই দুধের শিশুটিকে কুয়োয় ফেলে দিয়ে গেল? আশেপাশের গ্রামগুলিতে প্রাথমিক তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে শিশুর বাবা-মায়ের কোনও খোঁজ মেলেনি। মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সোমবার সকালে নবজাতককে চাইল্ড ডেভালপমেন্ট সার্ভিসের আধিকারিকদের হাতে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাকে স্থানীয় একটি হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
[বিমান থেকে উড়ে গেল মানুষের বর্জ্য, উল্কা ভেবে আতঙ্কে স্থানীয়রা]
এদিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও তেলেঙ্গানার শিশুকল্যাণমন্ত্রী সুনীত লক্ষ্মী রেড্ডি। হাসপাতালে সদ্যোজাতকে দেখতেও গিয়েছিলেন তিনি। তেলেঙ্গানার শিশুকল্যাণমন্ত্রী বলেছেন,‘মাত্র একদিনের শিশুকে যারা কুয়োয় ফেলে দিয়েছে, তারা মানবতার কলঙ্ক।‘
[হজ অফিসের পর এবার পার্কের পাঁচিলে গেরুয়া রং, ফের বিতর্কে যোগী প্রশাসন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.