সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হয়তো এমনটাই বিজেপি চাইছিল, আরএসএস চাইছিল। রাহুলের নরম হিন্দুত্বের তাস এবার পালটা কংগ্রেসকেই আঘাত করছে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিতে এতদিন সংখ্যালঘুরা একপেশেভাবে সমর্থন করছিল কংগ্রেসকে। কিন্তু এবার সেই সমর্থন হারানোর মুখে রাহুল গান্ধীর দল। ভোটের মুখে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তেলেঙ্গানার একগুচ্ছ সংখ্যালঘু নেতা। একই পরিস্থিতি ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশেও।
গুজরাট ভোট থেকে শুরু হয়েছিল রাহুলের ‘টেম্পল-রান’। ভোটের প্রচারের প্রতিপদে কোনও না কোনও মন্দিরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। একই ধারা দেখা গিয়েছিল কর্ণাটক ভোটে। রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের ভোটেও রাহুলের সেই রীতির ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বিশেষত মধ্যপ্রদেশে হিন্দুত্ব এজেন্ডায় রীতিমতো বিজেপিকে টক্কর দিচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের ইস্তেহারে রামপথ তৈরির প্রতিশ্রুতি থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় গোশালা তৈরির অঙ্গিকার, এসবই নরম হিন্দুত্বের প্রতিফলন। আর এতেই গোঁসা হয়েছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু নেতারা। তাছাড়া প্রার্থী নির্বাচন নিয়েও সন্তুষ্ট নন তারা। দলের শীর্ষ নেতাদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইতিমধ্যেই দল ছাড়ার হুমকি দিয়ে রাখছেন অনেকে। অনেকে আবার অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে ফেলেছে কংগ্রেস। তালিকায় মোটে ৩ জন মুসলিম প্রার্থী রয়েছেন। মুসলিম নেতাদের দাবি ছিল গোটা রাজ্যে অন্তত ১৪ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী হোক। কিন্তু জোটের স্বার্থে অনেক আসনই টিডিপিকে ছাড়তে হয়েছে। যে ৩টি আসনে মুসলিম প্রার্থী দেওয়া হয়েছে তাও আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম-এর শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদে। যে আসনগুলিতে কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা অনেক কম। এমন পরিস্থিতি হতেই পারে তেলেঙ্গানায় ভোটের পর কংগ্রেসের একজনও মুসলিম বিধায়ক থাকবে না। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ নেতারা দেখা করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। কিন্তু রাহুলও তাদের দেখা করার সময় দেননি। সব মিলিয়ে, নরম হিন্দুত্বের নীতি আওড়াতে গিয়ে সংখ্যালঘু সমর্থন নিয়ে চাপের মুখে রাহুল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চাপ অবশ্য কম নেই বিজেপিতেও। মধ্যপ্রদেশে টিকিট নিয়ে অসন্তোষ সামলাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির। ডেডলাইন পেরিয়ে যাওয়ার পরও মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় ৬০ জনেরও বেশি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.