সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীরাজ্যে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে (English Medium School) চরম অমানবিক ঘটনা। স্কুল ফি (School Fees) না দেওয়ায় দিনভর চড়া রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হল পড়ুয়াদের। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই ওই স্কুলের পরিচালক কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের আচরণের সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনায় নড়চেড়ে বসেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উন্নাও জেলার (Unnao District) ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটির নাম বাল বিদ্যা মন্দির। এই যাবতীয় তথ্য জানা গিয়েছে ভাইরাল হওয়া ভিডিও (Viral Video) মারফত। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, নাবালক-নাবালিকা পড়ুয়ারা বলছে, তাদের বেশ কয়েকজনের স্কুল ফি বাকি রয়েছে। এইজন্যে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেন শিক্ষক। সারা দিন চড়া রোদে দাঁড়িয়ে করিয়ে রাখা হয় তাদের।
কাঁদতে কাঁদতে এক ছাত্রী জানায়, “বাড়িতে স্কুল ফি-র জন্য বলেছি। বাবা হয়তো আজই ফি জমান দেবে।” স্কুলের বেতন বাকি পড়া শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, তাদের পরীক্ষাতে বসতে বারণ করা হয়েছে। ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে সমালোচনায় সরব হয়েছে নেটিজেন। সকলেই শিক্ষকদের আচরণের নিন্দা করছে। যোগীরাজ্যের ওই স্কুলের উপর উষ্মা প্রকাশ করে এক নেটিজেন টুইট করেন, “যখন অবৈতনিক স্কুল-হাসপাতাল গড়ি নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন স্কু ফি না দেওয়ায় ছাত্রদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে।”
তীব্র সমালোচনার পরেও উন্নাও জেলার ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটির দিকে থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্কুলটির বিরুদ্ধে নালিশ পৌঁছেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের কাছেও। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
এদিকে বুধবারই ক্ষুদ পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হায়দরাবাদে। অভিযোগ, ‘লোয়ার কিন্ডারগার্টেনে’র পড়ুয়া চার বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের গাড়ির চালক। ওই ব্যক্তি গত ২ মাস ধরে শিশুটির উপর নির্যাতন চালাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। হায়দরাবাদের (Hyderabad) নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.