ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক কিশোরীকে গণধর্ষণ (Gangrape) করে খুন করার পরে দেহ একটি বন্ধ প্লাস্টিক কারখানায় লুকিয়ে রাখার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দিল্লিতে (Delhi)। গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দুষ্কৃতী তাকে অপহরণ করেছিল। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। অবশেষে সন্ধান মিলেছে সেই কিশোরীর দেহের। দুই অভিযুক্তের একজনকে পুলিশ ইতিমধ্য়েই গ্রেপ্তার করেছে। অন্যজন পলাতক।
ঠিক কী হয়েছিল? তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, সম্ভবত দিল্লির নারেলার বাসিন্দা ওই কিশোরী অভিযুক্তদের চিনত। এবং সে সম্ভবত জানিয়েছিল, বাড়ি ফিরে সে তার পরিবারকে সব জানিয়ে দেবে। এরপরই তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, ধর্ষণ ও খুনের পরে তার সারা শরীর ঘুঁটে দিয়ে ঢেকে ফেলে ঘরটি বাইরে থেকে বন্ধ করে তারা পালিয়ে যায়। অবশেষে কয়েক দিন পরে সেখান থেকে পচা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। এরপরই কারখানার মালিক ফিরে এসে দরজা খুলতেই তাঁর চোখে পড়ে বীভৎস দৃশ্য। দ্রুত খবর যায় পুলিশের কাছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
এক অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩২ বছরের ওই ব্যক্তি মুম্বই পালানোর ছক কষছিল। কিন্তু সে পালানোর আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় জন পলাতক। সে ওই কারখানাতেই কাজ করত এবং সেখানেই থাকত। দুই অভিযুক্ত এবং তাদের সন্তানও রয়েছে বলে তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বাবা-মা ও বড়দাদার সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে মাত্র মিটার দশেক দূরেই এক বাড়িতে ভাড়া থাকত ওই কিশোরী। মাত্র দেড় মাস আগেই তারা এখানে এসেছিল। মেয়েটি বাড়িতেই থাকত। মাঝে মাঝে আশপাশের ছোটদের সঙ্গে খেলতে যাওয়া ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোত না। আচমকাই সে নিখোঁজ হওয়ার পরে তাই বাড়ির লোকের আন্দাজই ছিল না সে কোথায় যেতে পারে। মনে করা হচ্ছিল, সে হয়তো তাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে গিয়েছে। পরে প্রতিবেশীদের কথা শুনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেও কোনও খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে কারখানার ভিতরে আবিষ্কার হয় তার পচাগলা লাশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.