সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় থানায় ঢুকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী এক নাবালিকা৷ তিলক বিহার থানার এই ঘটনায় হতবাক গোটা রাজধানী৷ ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নাবালিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে আদতে পুলিশি উদাসীনতা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
নাবালিকার মায়ের দাবি, তাঁদেরই এক প্রতিবেশীর আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকত তাঁর মেয়ে৷ নিজের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়েকে চাপ দিত ওই প্রতিবেশী৷ কিন্তু ওই নাবালিকা প্রতিবেশীর ছেলেকে পছন্দ করত না বলেই দাবি তার মায়ের৷ এমনকী নাবালিকা হওয়ায় মেয়ের বিয়ে দিতে নারাজ ছিলেন তিনি৷ কিন্তু প্রতিবেশী নাছোড়বান্দা৷ ছেলের সঙ্গে নাবালিকাকে বিয়ের জন্য ক্রমাগতই চাপ দিতে থাকে ওই প্রতিবেশী৷ শনিবার সন্ধেবেলায় প্রথমে নাবালিকার বাড়িতে আসে ওই প্রতিবেশী৷ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় জোর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ নাবালিকার মায়ের৷ নাবালিকার মায়ের দাবি, তাঁকে ঘরে তালাবন্দি করে রেখেই মেয়েকে অপহরণ করে প্রতিবেশী৷
এরপরই তিলক বিহার থানা থেকে নাবালিকার মায়ের কাছে ফোন যায়৷ অন্যান্য প্রতিবেশীদের চেষ্টায় ঘর থেকে বেরোন তিনি৷ ছুটে যান থানায়৷ থানায় গিয়ে অবাক হয়ে যান নাবালিকার মা৷ তিনি দেখেন, থানারই একটি ঘরের সিলিং থেকে তার মেয়ের দেহ ঝুলছে৷ অন্য একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে তাঁর তিন ছেলেকেও৷
পুলিশের দাবি, শনিবার রাত দুটো নাগাদ ওই নাবালিকা তিলক বিহার থানায় যায়৷ বাড়ি ফিরে যেতে চায় না বলেও পুলিশকে জানায় সে৷ নাবালিকার কথা শুনে তার মা ও প্রতিবেশীকে থানা থেকে ফোন করা হয়৷ থানায় পৌঁছায় দুটি পরিবার৷ পুলিশের সামনেই ঝগড়াঝাটি শুরু করে তারা৷ নাবালিকা বাড়ি যেতে রাজি না হওয়ায় হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্তও নেয় পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই থানার একটি ফাঁকা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় ওই নাবালিকা৷ এরই দরজা খুলে নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়৷
At 2 am she came to police station&said she doesn’t want to go to her home. There was no lady constable at that time. By the time someone was called,families started quarreling at the station. The girl went to adjacent room&hanged herself. Magisterial inquiry is underway:DCP West https://t.co/YPigoLv8SB
— ANI (@ANI) July 15, 2018
নাবালিকার মায়ের বয়ান খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রতিবেশীদেরও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.