সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে কত কিনা করে থাকেন মা। কিন্তু কখনও শুনেছেন নিজের অবর্তমানে নাবালক ছেলের দেখাশোনা করার জন্য দশ বছরের বড় কোনও মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন সেই মা-ই? হ্যাঁ, এমনই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে অন্ধ্রপ্রদেশের উপ্পারাহাল গ্রামের লোকেরা। এই গ্রামে বসবাসকারী মৃত্যু পথযাত্রী এক মহিলা তাঁর ১৩ বছরের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন ২৩ বছরের একটি যুবতীর।
[বৃদ্ধ বাবা-মাকে অবহেলার শাস্তি ৬ মাসের হাজতবাস, আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
জানা গিয়েছে, চুপিসারেই কাজটা সেরেছে দুই পরিবার। গত মাসের ২৭ তারিখে হয়েছিল এই বিয়ের অনুষ্ঠান। বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তখনই বিষয়টা নজরে আসে প্রশাসনের। পরিবারটি সম্পর্কে গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, বাবা, মা ও তিন ভাই-বোনের সঙ্গে ওই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই থাকত নাবালকটি। তারা ছিল খুবই গরিব। নাবালকটির মা ছিলেন খুবই অসুস্থ। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। ছেলেটির বাবা ছিল মদ্যপ। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর মায়ের মনে ছেলের জন্য চিন্তা ছিল। তাঁর মৃত্যুর পরে ছেলের কী হবে? সেই চিন্তা কুঁড়েকুঁড়ে খেত তাঁকে। পরবর্তীকালে চিন্তামুক্ত হতে নাবালক ছেলের সঙ্গে বয়সে বড় মহিলার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা। এরপরে তিনি খবর পান, কর্ণাটকের একটি পরিবারের। যারা তাঁর ২৩ বছরের মেয়ের বিয়ে দিতে ইচ্ছুক হয় ১৩ বছরের নাবালকের সঙ্গে। এরপরেই কার্যত চুপিচুপি বিয়ের পর্ব মিটিয়ে দেয় দুই পরিবার।
[ভোটারদের টাকা দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি, নির্বাচনের পর উঠছে ‘ঘুষ’-এর অভিযোগ]
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে পড়তেই খবর যায় জেলা প্রশাসনের কাছে। তখনই দুই পরিবারেরই বাড়িতে হানা দেয় প্রশাসনিক কর্তারা এবং জেলার শিশু ও নারী কল্যাণ দপ্তরের কর্মীরা। কিন্তু দুই পক্ষের বাড়িতে গিয়েই হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তাদের। বাড়িতে তালা বন্ধ ছিল। দুটি পরিবারই চম্পট দিয়েছিল। জেলার শিশু ও নারী কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক শ্রীনিবাসন রাও জানিয়েছেন, দুই পরিবারকেই দুদিনের সময় দেওয়া হয়েছে। নাবালক ছেলেটি ও মেয়েটিকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এই বিয়ে কখনওই আইনসম্মত নয়। যদি দুই পরিবার নাবালক এবং যুবতীকে ফিরিয়ে না দেয় তবে তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলার শিশু ও নারী কল্যাণ দপ্তরের ওই আধিকারিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.