সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই প্রকাশ্যে এল আরেক চাঞ্চল্যকর ঘোষণা। কুতুব মিনার (Qutub Minar) অঞ্চলে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার তথ্য মন্ত্রকের (Ministry of Culture) সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ জনের একটি দল নিয়ে কুতুব মিনার চত্বর পরিদর্শনে যান। এলাকা পরিদর্শন করার পরেই এএসআইকে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেন তথ্য সচিব। এছাড়া ওই চত্বরে যেসব মূর্তি পাওয়া গিয়েছে, তার আইকনোগ্রাফি করতে হবে। তবে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরে সাফাই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কে রেড্ডি। তিনি বলেছেন, “এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”
পরিদর্শকদের দলে ছিলেন তিন জন ইতিহাসবিদ, চার জন এএসআই (ASI) আধিকারিক। এছাড়া কয়েকজন গবেষকও ছিলেন। জানা গিয়েছে, আপাতত কুতুব মিনারের দক্ষিণ দিক থেকে খোঁড়ার কাজ শুরু করা হবে। খনন কাজ চালাতে হবে মিনার থেকে ১৫ মিটার দূরে। তবে কতদিনের মধ্যে এই কাজের রিপোর্ট পেশ করতে হবে, সেই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের পরে কুতুব মিনার চত্বরে কোনও খনন কাজ চালানো হয়নি।
সাম্প্রতিক অতীতে এএসআইয়ের প্রাক্তন অধিকারিক ধরমবীর শর্মা বলেছিলেন, কুতুব মিনার তৈরি হয়েছিল রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে। তিনি সূর্যের আলো দেখে দিক নির্ধারণ করার জন্য বানিয়েছিলেন এই মিনার। এছাড়াও ওই চত্বর থেকে কৃষ্ণ, গণেশ-সহ বেশ কিছু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি জানিয়েছিল, কুতুব মিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করতে হবে। তাদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছিল, ২৭ টি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে তৈরি করা হয়েছিল কুতুব মিনার। সব মিলিয়েই এএসআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাটি খুঁড়ে অনুসন্ধান চালাতে।
কুতুব মিনার ছাড়াও আরও দুটি জায়গায় খনন কাজ চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেহরৌলির লালকোট কেল্লা এবং আনঙ্গতাল অঞ্চলে খনন কাজ চলবে। ইতিমধ্যেই জ্ঞানবাপী মসজিদের জলাশয়ে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। সেই এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। বিতর্কের আবহেই এই ঘোষণার পরে মনে করা হচ্ছে, জ্ঞানবাপীর মতোই বিস্তারিত ভাবে অনুসন্ধান চালান হতে পারে কুতুব মিনারেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.