সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে নতুনকরে সন্ত্রাস ছড়াল জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে ৫ পুলিশকর্মীর বাড়ির সদস্যদের গায়েব করে দেয় তারা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, যে সব পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করা হয়েছে, তাঁরা জম্মু-কাশ্মীর পুলিশে কর্মরত। সোপিয়ান, অনন্তনাগ, কুলগাঁও ও অবন্তীপুরায় পোস্টেড। অপহৃতদের মধ্যে রয়েছেন ডেপুটি পুলিশ সুপারের ভাইও।
সোপিয়ানে চার পুলিশকর্মী মারা যাওয়ার পর বুধবার জঙ্গিদের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে সেনা। তাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপরই পুলিশকর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে জঙ্গিরা।
[ এলাকা দখলের লড়াই, মুখোশধারীদের ছুরিকাঘাতে রাজধানীতে মৃত ২ ]
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদ দমনে চেষ্টা করায় এক পুলিশকর্মীকে অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা। কাশ্মীরের গান্দেরওয়াল জেলা থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। বুধবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ছেড়ে দেওয়ার আগে তাঁকে ভয়ানক পেটায় জঙ্গিরা। তবে সৌভাগ্যের বিষয় তাঁকে প্রাণে না মেরে ছেড়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। কারণ, চলতি বছর জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক পুলিশ আধিকারিককে টার্গেট করে জঙ্গিরা৷ অপহরণের পর খুন করে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ আধিকারিকদের দেহ ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বহু৷ মাস দুই আগে অপহরণ করা হয় ভারতীয় জওয়ান ঔরঙ্গজেবকে। ১৪ জুন সোপিয়ান থেকে একটি গাড়ি করে রাজৌরিতে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু কালামপোরার কাছে গাড়িতে ওঠে বেশ কয়েকজন আততায়ী। গাড়ি থেকেই অপহরণ করা হয় ওই জওয়ানকে। ঘটনার পরেরদিন কালামপোরা থেকে দশ কিলোমিটার দূরে গুসুতে উদ্ধার হয় ঔরঙ্গজেবের গুলিবিদ্ধ দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর মাথা ও গলায় ছিল গুলির চিহ্ন।
এরপর ২০ জুলাই কুলগাঁওয়ে নিজের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় কনস্টেবল মহম্মদ সালেম শাহকে। পরের দিন কুলগাঁওয়ের কাইমোহ এলাকায় তাঁর দেহ আবিষ্কৃত হয়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ২২ আগস্ট স্পেশাল পুলিশ অফিসার (SPO) ফৈয়জ আহমেদকে সোপিয়ান জেলায় গুলি করে মারে জঙ্গিরা। ইদ উদযাপন করতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।
[ ‘নোটবন্দি কোনও ভুল নয়, সাধারণ মানুষের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ’ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.