সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন অমান্য করলেই মিলবে কড়া শাস্তি। শনিবার এমনই এক অর্ডিন্যান্স (Ordinance) জারি করে লঙ্ঘনকারীদের হুঁশিয়ারি দেয় মিজোরাম সরকার। লকডাউনের প্রথম দফা থেকেই এই নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দ্বিতীয় দফাতেও সেই একই বার্তা দিতে হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে।
শনিবার মিজোরামে মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোন ও সেই এলাকার সুরক্ষা ব্যবস্থা কী হবে তাই ছিল বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়। পাশপাশি লকডাউনে আইন অমান্যকারীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ আর লালথাঙ্গলিয়ানা। সূত্রের খবর, ট্রেনে করে ভিন রাজ্য থেকে আসা পড়ুয়া সহ পরিযায়ী শ্রমিকদের কীভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে ও পরে তাদের কী পদ্ধতিতে বাড়ি ফেরানো হবে সেই আলোচনাও করা হয় এদিনের বৈঠকে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর প্রায় এক সপ্তাহ বাদেই আইন অমান্য করায় ৮ জন নাবালককে মারধর করে রাজ্যের করোনা টাস্ক ফোর্স। দেশে ক্রমে সংক্রমিতদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারতীয় চিকিৎসা সংস্থা (IMA) ও মিজোরামের চিকিৎসক সংগঠন। মিজোরামে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে এই দুই সংগঠন করোনা নিয়ে সার্বিক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে এই কঠিন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে আরও লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীও। প্রথমেই জোরামথাঙ্গা জানিয়েছিলেন যে তার রাজ্য একটি ভয়াবহ ভৌগলিক পরিবেশে অবস্থান করছে। এই রাজ্য অসম, মণিপুর ও ত্রিপুরা বেষ্টিত। অন্যদিকে এই রাজ্যের সীমানায় রয়েছে করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশ ও মায়ানমার।
মিজোরামের চিকিৎসক সংগঠন রাজ্য সরকারকে লকডাউনের মেয়াদকাল প্রায় একমাস বৃদ্ধি করতে বললেও কেন্দ্রের নিয়ম মেনে মিজোরাম সরকার তা ১৭ মে পর্যন্ত বর্ধিত করে। রাজ্যে কড়া নজরদারি বজায় রাখতে সীমান্ত এলাকায় পুলিশের টহল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে কঠোর প্রহরার জন্য। ১৫ জন আধিকারিক টাস্কের সঙ্গে জনসংযোগের কাজ সামলাচ্ছেন আর ১৮২ জন পুলিশ কর্মী আইনৃ-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.