সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দফার লকডাউন শেষের আগেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চম দফার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টানা ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে জনগনের ইচ্ছাকেই প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার দেন বলেই জানা যায়। তবে লকডাউন তুলে দেওয়ার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রীরা।
১৭ মে কি আদপেও লকডাউন তুলে দেওয়া হবে? নাকি ফের বহাল হবে লকডাউনে চতুর্থ পর্ব? লকডাউন তুলে দিলে ও তার পদ্ধতি কী হবে? কীভাবে তা তোলা হবে? কনটেনমেন্ট জোনগুলিকে বাদ দিয়ে কী বাকি জায়গার বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে? সেই বিষয়েই আজ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রীদের নিজেদের রাজ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও গ্রামগুলির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলেন। নরেন্দ্র মোদি জানান, “যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন, এমনটাই চেয়েছিল সরকার। কিন্তু মানুষ বাড়ি ফিরতে চাইবেন এটাই মানপ্রবৃত্তির মধ্যে পড়ে। তাই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে আমাদের। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, সংক্রমণ যেন কোনও ভাবেই গ্রামগুলিতে পৌঁছতে না পারে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে একত্রে কাজ করতে হবে।” করোনার বিরুদ্ধে রাজ্যগুলি সঠিক ভুমিকা পালন করছে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্ব বুঝেছেন এবং সেই মতো করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সব রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ক্যাবিনেট সচিব। আমাদের আরও সজাগ হতে হবে। ভারসাম্য বজায় রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। কী ভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হতে হবে সকলকে। সকলের পরামর্শ মেনেই পরবর্তী গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।”
তবে ১৭ মে কি উঠে যাবে লকডাউন? সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। দেশে সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় এদিনের ভিডি কনফারেন্সে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী। এমনকি ৩১ মে পর্যন্ত ট্রেন এবং বিমান পরিষেবাও বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান তিনি। পালানিস্বামীর সুরে প্রধানমন্ত্রীকে একই অনুরোধ করেন তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। লকডাউনের মাঝেও কীভাবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখা যায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানান পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। লকডাউন থাকলে নিয়মের শিথিলতা জারি করার অনুরোধ করেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি। এমতাবস্থাতেও নিজের রাজ্যের খতিয়ান তুলে ধরে কেন্দ্রকে রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকার বার্তা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের কথায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ধরা পড়ে। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া দিল্লির বাকি স্থানে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বজায় রেখে রাজ্যসরকারদের কিছু বিষয়ে স্বতন্ত্রভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়ার ও অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.