Advertisement
Advertisement
শ্রমিক স্পেশ্যাল

‘নিজেদের টাকাতেই কিনতে হয়েছে টিকিট’, দাবি গুজরাট ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের

'কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারই আমাদের সাহায্য করেনি', দাবি শ্রমিকদের।

Migrants travelling from Gujarat claimed they were made to buy ticket
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 5, 2020 9:34 am
  • Updated:May 5, 2020 9:34 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন ভাড়া নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। সরকার যতই দাবি করুক, শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ট্রেনে রেল মন্ত্রক ৮৫ শতাংশ ভরতুকি দিয়েছে, বাকি ১৫ শতাংশ দেবে রাজ্য সরকার, বাস্তব বলছে অন্য কথা। গুজরাট থেকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেন ছেড়েছে। সব ট্রেনের যাত্রীরাই কমবেশি দাবি করছেন, তাঁদের ট্রেনের ভাড়া নিজেদেরই মেটাতে হয়েছে। রাজ্য বা কেন্দ্র, কোনও সরকারই তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

Shramik-Special

Advertisement

কেন্দ্রের দাবি ছিল, রেল মন্ত্রক ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ (Shramik Special) ট্রেনের জন্য কোনও টিকিট বিক্রি করছে না। রাজ্য সরকারগুলির কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে। তারাই ঠিক করবে কোন কোন শ্রমিক রাজ্যে ফিরে যাবেন। শ্রমিকদের ভাড়ার ৮৫ শতাংশ মকুব করে দিয়েছে রেল। বাকি ১৫ শতাংশ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। রেল দপ্তর শ্রমিকদের খাবার এবং পানীয় জলও বিনামূল্যে দেবে। যে ১৫ শতাংশ ভাড়া রাজ্যের কাছে চাওয়া হয়েছে তারা চাইলে নিজেরাই সেই ভাড়া মিটিয়ে দিতে পারে। এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি শ্রমিকদের থেকে কোনও ভাড়া নেবে না। গতকাল কেন্দ্র এই দাবি করার পরই একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এর সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করে। আর তাতেই জানা যায়, গুজরাট থেকে যে সমস্ত যাত্রীরা নিজেদের রাজ্যে ফিরেছেন তাঁদের প্রায় সকলকেই ভাড়ার টাকা নিজেকে দিতে হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: লকডাউনের পরে কী? দু’মাসের জন্য ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করছে কেন্দ্র]

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ আহমেদাবাদ থেকে লখনউ যাওয়া কিছু যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই জানিয়ছেন তাঁদের টিকিটের জন্য ৬৯০ টাকা করে দিতে হয়েছে। রেল (Indian Railways) অবশ্য ওই ৬৯০ টাকার মধ্যেই খাবার এবং জল দিয়েছে। আরেক সংবাদমাধ্যম ‘আহমেদাবাদ মিরর’ কথা বলেছে গুজরাট থেকে উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড় যাওয়া যাত্রীদের সঙ্গে। সকলেই জানিয়েছেন, তাঁদের নিজেদের টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, তাঁদের টিকিট মুল্যে সামান্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে তা ৮৫ শতাংশ নয়।

[আরও পড়ুন: ‘সামাজিক দূরত্ব অমান্য করলে প্রত্যাহার করা হবে লকডাউনের ছাড়’, কড়া হুঁশিয়ারি কেজরিওয়ালের]

এখন প্রশ্ন হল কেন্দ্র দাবি করছে তাঁরা টিকিটের দামে ভরতুকি দেবে। বাকি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। তাহলে শ্রমিকদের টাকা দিতে হচ্ছে কেন? এক্ষেত্রে একটা যুক্তি খাড়া করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এই শ্রমিকরা কেন্দ্রের ঘোষণার আগেই যাত্রা করেছেন। তাই তাঁদের টাকা নিজেদেরই দিতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি শুরু থেকে এই ৮৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার নির্দেশ ছিল না?

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement