Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডিজিটাল হেনস্তা

নেটদুনিয়ায় হেনস্তার শিকার কমবয়সিরাই, ‘ডিজিটাল শিষ্টাচারে’ পিছিয়ে ভারত

মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য!

Microsoft's recent survey on digital media will make you surprise
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:February 13, 2020 9:14 am
  • Updated:February 13, 2020 9:14 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: সোশ‌্যাল মিডিয়া তথা ডিজিটাল দুনিয়ায় হেনস্তা সবচেয়ে বেশি কাদের হয়? উত্তর- কমবয়সিদের। অন্তত ভারতে তো বটেই! আর এই হেনস্তা করে কারা? শুনতে অবাক লাগলেও উত্তর হল, পরিচিতরাই। হ্যাঁ। সোশ‌্যাল মিডিয়ায় হেনস্তার শিকার যারা হয়, তাদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ তাদের পরিচিত। সম্প্রতি, এক সমীক্ষার ফলে এই কঠোর বাস্তব সামনে এসেছে।

ভারত-সহ বিশ্বের ২৫টি দেশে সমীক্ষা চালিয়েছিল মাইক্রোসফট। অংশ নিয়েছিলেন সাড়ে ১২ হাজার মানুষ, যাঁদের মধ্যে পূর্ণবয়স্ক ছাড়াও ছিলেন কমবয়সিরাও। সমীক্ষার বিষয় ছিল সোশ‌্যাল মিডিয়া তথা ডিজিটাল দুনিয়ার ‘সিভিলিটি’ অর্থাৎ ‘নীতিপরায়ণতা’ বা শৃঙ্খলাপরায়ণতা ঠিক কতটা সন্তোষজনক বা হতাশাজনক। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মাইক্রোসফট ডিজিটাল সিভিলিটি ইনডেক্সের (ডিসিআই) নিরিখে সেরা ৫ দেশের তালিকায় রয়েছে ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, মালয়েশিয়া এবং আমেরিকা। আর তালিকার সবচেয়ে নিচে রয়েছে ভিয়েতনাম, রাশিয়া, কলম্বিয়া, পেরু এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ডিজিটাল সিভিলিটি সূচকের নিরিখে ভারতের ফলও দারুণ ভাল বা আশাব‌্যঞ্জক কিছু নয়! 

Advertisement

[আরও পড়ুন: HUG DAY-তে বিজেপিকে ‘আন্তরিক’ শুভেচ্ছা কংগ্রেসের, হাতিয়ার এই বিখ্যাত ছবি]

২০১৯ সালে ভারতের ডিসিআই ইন্ডেক্স ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশে। গত ৪ বছরের মধ্যে এবারই এই হার সবচেয়ে বেশি।  নিয়ম হল ডিসিআই যত বেশি হবে, ডিজিটাল দুনিয়ায় শিষ্টাচার বলুন বা শৃঙ্খলাপরায়ণতার হার তত কম ধরে নেওয়া হবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, ভারতে অনলাইনে হেনস্তার শিকার সবচেয়ে বেশি হন কমবয়সিরাই। 

কিন্তু সোশ‌্যাল মিডিয়ায় ঠিক কীভাবে হয় হেনস্তা?

ট্রোলিং, ‘হেট স্পিচ’ অর্থাৎ ঘৃণা উদ্রেককারী, বিদ্বেষমূলক মন্ত‌ব‌্য, অযাচিত ‘সেক্টটিং’ তথা যৌনগন্ধী বার্তালাপ চালিয়ে যাওয়ার মতো গোটা বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ মানুষজন এই সবেরই শিকার হয়েছেন এবং হচ্ছেন। মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সব ধরনের হেনস্তার মধ্যে রাজনীতি এবং ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে করা হেনস্তাই সকলের শীর্ষে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশই এই দুইয়ের শিকার। এরপরই স্থান যৌন হেনস্তার। অন্তত ৩০ শতাংশ মানুষ এই সমস্যার কথা সমীক্ষায় তুলে ধরেছেন। আবার ধর্ম এবং জাতি বিদ্বেষের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যথাক্রমে ২৬ এবং ২৫ শতাংশ। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের হেনস্তা রুখতে অদূর ভবিষ‌্যতে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলো কোনও পন্থা নিশ্চয়ই বের করবেন বলেই বিশ্বাস করে অংশগ্রহণকারীদের ৬৭ শতাংশ।

[আরও পড়ুন: দেউলিয়া উইকিপিডিয়া! পেজ খুললেই টাকা চাইছেন নির্মাতারা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement