প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়েদের সতীত্ব নিয়ে ছুঁৎমার্গের অন্ত নেই। কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কনক সরকার সতীত্ব নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এছাড়া দেসের একাধিক রাজ্যে মেয়েদের সতীত্বের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে বারবার। কিন্তু হাজার সমস্যাতেও প্রশাসন তাদের পাশে রয়েছে, এমন বার্তাই দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
বুধবার মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে জোর করে মেয়েদের সতীত্বের পরীক্ষা করানো দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনওভাবে যদি অভিযুক্তের এই অপরাধ প্রমাণিত হয়, তবে তাদের আদালতের নির্দেশ মতো শাস্তি পেতে হবে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিয়ের আগে হবু স্ত্রীয়ের বা বিয়ের পর নববধূর সতীত্ব পরীক্ষা করা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রঞ্জিত পাটিল জানিয়েছেন, অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান এই পরীক্ষা বন্ধের চেষ্টা করছে। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এখনও তার কোনও প্রভাব পড়েনি। তাই সরকারকেই এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেছেন, মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষা করতে বাধ্য করা যৌন হেনস্তারই শামিল। আইন ও বিচার মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে একটি নির্দেশিকা খুব শীঘ্রই জারি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। শিব সেনার মুখপাত্র নীলম গোরহেও মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
[ ‘বন্দেমাতরম’ গাইতে চাননি, শিক্ষককে গণধোলাই স্থানীয়দের ]
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে একটি নির্দিষ্ট জাতির মানুষের মধ্যে মহিলাদের ক্ষেত্রে এমন একটি প্রথা প্রচলিত আছে। সেখানে বিয়ের আগে হবু স্ত্রীকে বা বিয়ের পর নববধূকে সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়। তবে বর্তমানে ওই জাতিরই অনেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে।
তবে সতীত্ব নিয়ে ছুঁৎমার্গ শুধু মহারাষ্ট্রেই নেই, পশ্চিমবঙ্গেও আছে। কিছুদিন আগে ‘সতীত্ব’ প্রসঙ্গে একটি পোস্ট করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কনক সরকার৷ পোস্টে অধ্যাপক লেখেন, ‘একজন ভার্জিন মেয়ে অনেকটা সিলড বোতল বা সিলড প্যাকেটের মতো। আপনি কি টাকা দিয়ে সিলভাঙা কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতল কিনবেন? নিশ্চয়ই খোলা বিস্কুটের প্যাকেট কিনবেন না। একটি মেয়ে সতীত্ব নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। যতদিন তার সতীত্ব নষ্ট না হয়, ততদিনই সে পবিত্র থাকে। সেই সঙ্গে অনেক গুণ থাকে তার। যৌন স্বাস্থ্যের নিরিখে কুমারী মেয়ে বিয়ে করাই ভাল।’ ফেসবুকে এই পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।অধ্যাপককে তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশনও।
[ পালটাচ্ছে অপরাধের ধরন, সিবিআইয়ের সাহায্য চায় বাংলাদেশ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.