Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

করোনায় কলকাতা-সহ চার নগরের অবস্থা ‘বিশেষভাবে উদ্বেগের’, ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

পশ্চিমবঙ্গে ও আসছে ৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।

MHA declared extremely serious condition in four cities
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 20, 2020 2:18 pm
  • Updated:April 20, 2020 2:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ৪ মহানগরকে সোমবার ‘বিশেষভাবে উদ্বেগের’ বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মুম্বই, পুণে, জয়পুর, কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি স্থানে করোনা সংক্রমণের প্রভাব অত্যন্ত বেশি বলে জানায় কেন্দ্র। এমনকি এই কয়েকটি শহরে লকডাউনের নিয়মে শিথিলতা থাকায় ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা।

দেশের সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, “এত বার বলা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক-সহ প্রথম সারিতে কাজ করা করোনা যোদ্ধাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। কোথাও আবার সামাজিক দূরত্বকে মানাই হয় না। বেশ কিছু শহরাঞ্চলে এখনও লকডাউনের নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালানো হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে গেলে এই সব কিছু বন্ধ করতে হবে। লকডাউনের নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।” ইতিমধ্যেই দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৪৩, আক্রান্তের সংখ্যা সতেরো হাজার ছড়িয়েছে। ‘বিশেষভাবে উদ্বেগের’ পরিস্থিতি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর, মুম্বই, মহারাষ্ট্রের পুণে, রাজস্থানের জয়পুর, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও পশ্চিমবঙ্গের আরও কয়েকটি স্থানে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানায়, “যে সব জায়গায় লকডাউনের বিধি ভাঙা হচ্ছে তা নজরে রাখা হচ্ছে। তবে সেই অঞ্চলের মানুষের জন্য তা আতঙ্কের পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।” এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রকের সদস্যদের নিয়ে। এই দলগুলি প্রধানত মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কাজ করবে।

[আরও পড়ুন:করোনা মোকাবিলায় নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই কর্মী নিয়োগ রেলের]

জানা যায়, “এই দলগুলির কাজ হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে প্রত্যহ রিপোর্ট দেওয়া। লকডাউনের নিয়ম মেনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ করা। সামাজিক দূরত্ব মানতে বাধ্য করা। পাশাপাশি তারা সেই শহরের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের সুরক্ষার প্রতিও নজরে রাখবেন। এমনকি দুস্থদের ত্রাণও বিলি করা হবে।” অন্য়দিকে পশ্চিমবঙ্গে আসছে কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি দল। তাঁরাই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রকে। এই দুই দলে থাকবে ৫ জন করে সদস্য়।  মোটের ওপর শুধু নির্দেশিকা জারি করে নয়। হাতে কলমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামছে কেন্দ্র।

[আরও পড়ুন:তেলেঙ্গানায় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ, মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement