সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল #MeToo অভিযোগ। আর তার জেরেই আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। নাম অনির্বাণ ব্লাহ। একটি সেলেব্রিটি ম্যানেজমেন্ট ফার্মের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
জানা গিয়েছে, তাঁর ফার্মের একটি মহিলা অনির্বাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা #MeToo-র অভিযোগ মানতে পারেননি অনির্বাণ। তাই বৃহস্পতিবার নবি মুম্বইয়ের একটি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সৌভাগ্যবশত, তার আগেই পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। উদ্ধার করার পর অনির্বাণকে ভাসি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে তাঁর আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
[ #MeToo কলঙ্কিতদের সঙ্গে কাজ নয়, ঘোষণা মহিলা পরিচালক ব্রিগেডের ]
ভারতে প্রথম #MeToo-র অভিযোগ তোলেন তনুশ্রী দত্ত। অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। জানান, ওই ছবির গানের শুটিং চলাকালীন নানা পাটেকর তাঁকে অশালীনভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি অভিনেতার সঙ্গে কোনওরকম ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে চাননি। ঘটনাটি এখানেই থামিয়ে দেননি তনুশ্রী। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি এফআইআর দায়ের করেন। তাঁকে ছবি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
এরপর থেকে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। অভিযোগ ওঠে অলোক নাথের বিরুদ্ধেও। চিত্রনাট্যকার বিনতা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। এমনকী, অভিনেত্রী সন্ধ্যা মৃদুলও অলোক নাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, একদিন তাঁর ঘরে ঢুকে এসেছিলেন অলোক নাথ। সন্ধ্যার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কোনওক্রমে তাঁকে এড়িয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়েন সন্ধ্যা। সেখানেও গিয়ে পড়েন অলোক। শেষ পর্যন্ত নিজেকে বাঁচিয়ে লবি পর্যন্ত নেমে আসেন সন্ধ্যা।
[ ‘আমি জানি নানা পাটেকর অভব্য’, #MeToo প্রসঙ্গে মন্তব্য রাজ ঠাকরের ]
পরিচালক বিকাশ বহেলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন কঙ্গনা রানাউত। তিনি বলেন, ‘‘একদিন শুটিং শেষ হওয়ার পর বিকাশ আমাকে জড়িয়ে ধরে৷ কাঁধে ও গলায় হাত বোলাতে থাকে৷ এমনকী আমার পোশাকের ভিতরেও হাত দেওয়ার চেষ্টা করে সে৷’’
শুধু এই তিন জন নয়। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী, পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের মতো অনেকের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.