সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আদৌ তিনি এমএ পাশ করেছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্রও চেয়েছিলেন তিনি! এবার বর্ষীয়ান সাংবাদিক শীলা ভাটকে বলতে শোনা গেল মোদির এমএ পড়ার সময়ের কথা বলতে। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৮১ সালে তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পরিচয়। সেই সময় মোদি পার্ট টু’র ছাত্র ছিলেন।
সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের স্মিতা প্রকাশকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় শীলা জানিয়েছেন, ”১৯৮১ সালে মোদির সঙ্গে আমার আলাপ। সেই সময় তিনি এমএ পার্ট টু পড়ছিলেন। ওঁর মেন্টর ছিলেন প্রবীণ শেঠ। তিনি আমারও মেন্টর ছিলেন।” কেমন ছাত্র ছিলেন মোদি? শীলার দাবি, ”উনি খুবই পরিশ্রমী ছিলেন।”
সেই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, ”আমার মনে পড়ছে মোদির এক সহপাঠীকে। তিনি এখন আইনজীবী। যখন কেজরিওয়াল ও কংগ্রেস টুইটারে পোস্ট করে মোদির শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন, সেই সময় আমি তাঁকে মুখ খুলতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি মুখ বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
উল্লেখ্য, গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুণতে হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। গুজরাট হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশ্যে আনা অপ্রয়োজনীয়। উলটে অহেতুক RTI করায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্য আনার দাবিতে বছর সাতেক আগে একটি RTI করেছিলেন। সেই RTI-এর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে জাতীয় তথ্য কমিশন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়। কিন্তু কমিশনের সেই নির্দেশ মানতে রাজি হয়নি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়। তারা জানিয়ে দেয়, এভাবে RTI-এর মাধ্যমে কোনও ছাত্রের ডিগ্রি প্রকাশ করা আইনবিরুদ্ধ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.