CAA বিরোধী আন্দোলন ঘিরে এবার উত্তপ্ত মেঘালয়, সংঘর্ষে মৃত ১

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা পুরোপুরি থামার আগেই উত্তপ্ত হল মেঘালয়। CAA এবং ইনার লাইন পারমিট নিয়ে অশান্তির জেরে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। অশান্তি রুখতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের ৪৮ ঘণ্টার জন্য ছ’টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। জারি করা হয়েছিল সাময়িক কার্ফুও। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এবং রাজ্যপাল তথাগত রায় আবেদন জানিয়েছেন।

Update: Curfew imposed in Shillong after death of man in clashes between KSU members and non-tribals during meet on CAA, inner line permit lifted; ban on mobile internet services continue in six Meghalaya districts, say officials

Advertisement

— Press Trust of India (@PTI_News) February 29, 2020

আরও পড়ুন:

• ২০২৪-এ শ্রীনগরের একজন যুবকও যোগ দেয়নি জঙ্গি দলে, ভূস্বর্গের ‘সুখবর’ শোনাল পুলিশ
• বাংলা ও বিহারে আর্সেনিকের প্রভাব সবচেয়ে বেশি, পরিবেশ আদালতে রিপোর্ট কেন্দ্রের

[আরও পড়ুন : ফোনে প্রেমালাপ! সন্দেহের বশে নাবালিকাকে নেড়া করে ‘শাস্তি’ দিল পরিবার]

শুক্রবার থেকেই খাসি পাহাড়ের কোলের এই রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে CAA এবং ইনার লাইন পারমিট নিয়ে খাসি ছাত্র সংগঠন (KSU)-এর বৈঠক ছিল। এই বৈঠকের পরই উত্তেজনা ছড়ায়। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় খাসি ছাত্র সংগঠন এবং অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বেশকিছু সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একটি খড়ের গাদাও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। সংঘর্ষের জেরে শিলঙে একজন প্রাণ হারান। তিনি KSU-এর সদস্য বলে খবর। নাম লুরসাই হেনিওয়াতা। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন।

Curfew has been imposed in Shillong agglomeration and adjoining areas and internet services have been suspended in the six districts of the Eastern Range as a precautionary measure. pic.twitter.com/3QiphFe5Hj

— Meghalaya Police (@MeghalayaPolice) February 28, 2020

[আরও পড়ুন : ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পোস্ট করে শিলচরে ধৃত বাঙালি অধ্যাপক]

এরপরই ইস্ট জয়ন্তিয়া হিলস, ওয়েস্ট জয়ন্তিয়া হিলস, ইস্ট খাসি হিলস, রি ভোই, ওয়েস্ট খাসি হিলসের মতো ছ’টি জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী শিলঙ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার রাত ১০টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কার্ফুও জারি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল। 

I appeal to all citizens in Meghalaya,tribal or non-tribal: keep calm. Don’t spread rumours and don’t listen to rumours.
The Chief Minister has spoken to me. He assured me he is taking all necessary steps. We are agreed that the prime requirement now is to maintain Law and Order.

— Tathagata Roy (@tathagata2) February 28, 2020