সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় মেঘালয়ের বিধায়করা এক বছরের জন্য তাদের ১০ শতাংশ বেতন দান করবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে (Relief Fund)। শনিবার সেকথাই ঘোষণা করলেন মেঘালয়ের বিধানসভার অধ্যক্ষ মেতবাহ লিংদোহ (Metbah Lyngdoh)। মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় এদিন অধ্যক্ষ রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেসটোন টিনসং ও বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংগমার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তাঁদের অনুদান নিয়েই এই বৈঠক হয়। এরপরই বিধায়কদের ১০ শতাংশ বেতন দান করার প্রস্তাব ওঠে।
শনিবার বৈঠক শেষে লিংদোহ জানান, “বৈঠকে স্থির করা হয় রাজ্যের ৬০ জন বিধায়কই তাঁদের এক বছরের বেতনের ১০ শতাংশ স্ব-ইচ্ছায় দান করবেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত এই প্রাপ্ত বেতনের ১০ শতাংশ তাঁরা দান করবেন। শুধুমাত্র ভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিধায়করাই নন বিরোধীনেতা মুকুল সাংগমাও তাঁর এক বছরের ১০ শতাংশ বেতন দান করবেন এই তহবিলে।” অধ্যক্ষ আরও বলেন, “আমি খুবই খুশি যে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের উপ-মু্খ্যমন্ত্রী-সহ বিরোধী দলনেতা সকলেই এক হয়ে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন। এটাই সময়, যখন বিধানসভামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে সকলকে রাজ্যের স্বার্থের কথা ভেবে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।” এই বৈঠকে বিধানসভার স্পিকার জানান যে করোনার প্রকোপ যাতে রাজ্যে মহামারি আকার ধারণ না করে তাই সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু সকতর্কীকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শনিবারে রাজ্যের এই বৈঠকে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কোনরাড সাংগমা উপস্থিত থাকতে পারেননি। কারণ, এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী ও দেশের বাকি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ব্যস্ত ছিলেন।
এদিন বৈঠকে অধ্যক্ষ রাজ্যবাসীকে লকডাউন মেনে ঘরে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান। কারণ, দেশের মানুষের সহায়তাতেই রাজ্যে লকডাউনকে সফল করে তোলা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাই ফের বৈঠক শেষে তিনি রাজ্যের সকলের কাছে সরকারী নিয়ম মেনে চলার ও ঘরে থাকার আবেদন করেন। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির নিরিখে মেঘালয়ের এখনও আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১। তাই পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয় সেই চেষ্টাই করছে মেঘালয় সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.