Advertisement
Advertisement

Breaking News

জয় বাংলা

‘জয় বাংলা’ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রাদেশিকতার অভিযোগ,তথাগতর মন্তব্যে বিতর্ক

মেঘালয়ের রাজ্যপালকে পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও৷

Meghalaya Guv Tathagata Roy slams 'Joy Bangla' slogan
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:June 21, 2019 2:50 pm
  • Updated:June 21, 2019 2:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়ে নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে ফের বিতর্কে জড়ালেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘ ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাদেশিকতাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। সাবধান থাকুন।’ এই ইস্যুতে মেঘালয়ের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

[আরও পড়ুন: মুসলমান যুবকদের মারধর করে বলানো হল ‘জয় শ্রীরাম’, চাঞ্চল্য অসমে]

এবার লোকসভা ভোটে ১৮টি আসনে জিতে এ রাজ্যে মাটি শক্ত করে ফেলেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখন দলের কর্মী-সমর্থকদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শোনা যাচ্ছে। শুধু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সামনে তো বটেই, গত ৩১ মার্চ নৈহাটিতে যাওয়ার পথে, ভাটপাড়ায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের সামনেও শোনা গিয়েছিল রামনাম। মেজাজ হারিয়ে যাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছিলেন, তাঁদের মেরে চামড়া গুটিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ। পরে অবশ্য সকলেই জামিন পেয়ে যান।

Advertisement

বস্তুত, দিন কয়েক আগে বিধানসভায় শপথ নেওয়ার সময়েও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’-র পালটা ‘জয় বাংলা’, ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান তুলেছে তৃণমূল। কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ বললেই রাজ্যবাসীকে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় হিন্দ’ বলার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা নিয়েই নাম না করে এ রাজ্যের শাসকদলে নিশানা করেছন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। আর তৃণমূলের পালটা বক্তব্য, ‘‘তথাগত রায় মোটেই নিজের রাজ্য নিয়ে গর্ববোধ করেন না। পাঞ্জাব পাকিস্তানে আছে, আবার ভারতেও আছে। তাহলে কি ‘জয় পাঞ্জাব’ও বলা যাবে না?’’ 

[আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা আইপিএস অফিসারের যাবজ্জীবন]

এর আগে যখন শিক্ষাক্ষেত্রে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলছিল, তখনও বাঙালি মেয়েদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিল মেঘালয়ের  রাজ্যপাল। তথাগত রায়ের বক্তব্য, ‘বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ কিংবা নেতাজির সঙ্গে হিন্দি শেখার কোনও বিরোধ নেই। বাঙালি ছেলেরা হরিয়ানা থেকে কেরল-সর্বত্র ঘর ঝাঁট দেয়। বাঙালি মেয়েরা মুম্বইতে বার ডান্স করে, যা আগে অকল্পনীয় ছিল।’ অর্থাৎ মেঘালয়ের রাজ্যপালের যুক্তি ছিল, বাঙালি মেয়েরা মুম্বইতে বারে নাচ করতে পারলে, হিন্দি শিখতে আপত্তি কেন? আর এভাবেই বারবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement