ছবিটি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সুবিচার পেয়েছে মুসলিম মহিলা সমাজ। কিন্তু তাতেও বদলায়নি ছবি৷ এখনও বারবার তিন তালাকের শিকার হচ্ছেন মহিলারা৷ যোগীর রাজ্যে আবারও সামনে এল তিন তালাকের ঘটনা৷ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করার ‘অপরাধে’ মহিলাকে তিন তালাক দেওয়া হয়েছে৷ সুবিচারের আশায় বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা৷
দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের মীরাটের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই মহিলার৷ সুখী সংসারের স্বপ্ন নিয়ে বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি আসেন তিনি৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মহিলার দাম্পত্য জীবন খুব একটা সুখের ছিল না৷ বরং যা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, তাই ঘটেছিল বাস্তবে৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবি করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন৷ স্বামীর পরোক্ষে মদত ছিল তাতে৷ বাপেরবাড়ির আর্থিক সামর্থ্যও বিশেষ ছিল না মহিলার৷ তাই শ্বশুরবাড়ির দাবিপূরণ করতে পারতেন না মহিলা৷ বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে হত তাঁকে৷ অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের টাকার দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত গৃহবধূকে৷ দিনকয়েক আগে গর্ভবতী হয়ে পড়েন মহিলা৷ তা সত্ত্বেও কখনও কখনও খেতে দেওয়া হত না তাঁকে৷
বৃহস্পতিবার অত্যাচার চরমে পৌঁছায়৷ প্রতিদিনের মতো সেদিনও প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় মহিলাকে৷ গৃহবধূর অভিযোগ, নিকাহ হালালার অছিলায় শ্বশুর ধর্ষণ করে তাকে৷ তাতে বাধা দেননি শাশুড়িও৷ শ্বশুরের নৃশংস অত্যাচারের কথা স্বামীকে জানাননি ওই মহিলা৷ কিন্তু তাতেও রেহাই পাননি তিনি৷ এরপর শনিবার একইভাবে প্রথমে মারধর ও পরে ননদের স্বামীও ধর্ষণ করে তাকে৷ স্বামী বাড়ি ফেরার পর ধর্ষণের কথা জানান নির্যাতিতা৷ অভিযোগ শুনে অগ্নিশর্মা হয়ে যায় মহিলার স্বামী৷ তাকে মারধর করে তিন তালাক দেয় সে৷
এরপরই মীরাট থানায় যান মহিলা৷ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৭৬, ৩৪২, ৪৯৮ এ, ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ তবে ঘটনার পর থেকে ফেরার অভিযুক্তরা৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.