সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চন্দ্রবাবু নায়ডুর ডাকা বিরোধী বৈঠকের ভবিষ্যত নিয়ে আরও একটি প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। এমনিতেই মমতার আপত্তিতে এবং পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের জন্য একদফা পিছিয়ে গিয়েছে বিরোধীদের বৈঠক। এবার এই বৈঠকে মায়াবতীর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে গেল। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিরোধী বৈঠকে হাজির থাকছেন না মায়াবতীর দলের কোনও প্রতিনিধি।
উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির মহাজোট বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র গোরক্ষপুরে বিজেপিকে পরাস্ত করেছিলেন বিরোধী প্রার্থীরা। উত্তরপ্রদেশের সেই ফর্মুলাকেই জাতীয় স্তরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিরোধীরা। কর্ণাটক নির্বাচনে সেই ছবি ধরাও পড়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, মাঝখানে হঠাৎ মত বদল করেন মায়াবতী। আসন রফায় সমস্যা হওয়ায় পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে আলাদা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসপি। এমনকী ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ভোটের প্রচারে কংগ্রেসকে আক্রমণও করেছেন তিনি। এরপরই বিরোধী বৈঠকে মায়াবতীর না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিরোধী শিবিরের চিন্তা বাড়াচ্ছে। কংগ্রেসের এক নেতা বলছেন, মায়াবতীর দলের প্রতিনিধি হিসেবে দলের সচিব সতীশ মিশ্রকে বিরোধী বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে শেষ পর্যন্ত বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য রাজি করা যায়নি। উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে জোট ছাড়ার পর বিরোধীদের একত্রিত করার চেষ্টা করছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। ১০ ডিসেম্বরের বৈঠকটাও তিনিই ডেকেছেন। কংগ্রেস নেতাদের আশা, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নায়ডু ব্যক্তিগতভাবে মায়াবতীকে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য আবেদন করবেন। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হবে না বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
কংগ্রেস সূত্রের আবার দাবি, ১০ ডিসেম্বর মায়াবতী বৈঠকে হাজির না হওয়া মানেই লোকসভায় জোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেল, সেটা ধরে নেওয়াও ঠিক নয়। এক মাঝারি মাপের কংগ্রেস নেতা বলছেন, “মায়াবতীর সঙ্গে আমরা আগামিদিনে আবারও আলোচনার চেষ্টা করব। আসলে আমার মনে হয় বিএসপি নেত্রী পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল দেখে হাওয়া বুঝে নিতে চাইছেন। ভোটের ফল আমাদের পক্ষে গেলে মায়াবতীও বিরোধী জোটে যোগ দেবেন।” কংগ্রেস যতই দাবি করুক, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে মায়াবতীর বিরোধী জোটে অনুপস্থিতি বিজেপিকে বড়সড় স্বস্তি দেবে। কারণ, উত্তরপ্রদেশে বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হলে মূল সুবিধাটা গেরুয়া শিবিরই পাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.