সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৩ মে ভারতীয় রাজনীতির এক ঐতিহাসিক দিন। জওহরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর পর নরেন্দ্র মোদিই সেই রাজনীতিক, যিনি ভারতীয় রাজনীতিতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটান। পরপর দু’বার সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে বজায় রাখেন রাজনৈতিক প্রতাপ ও প্রভাব। আর এই বিরাট সাফল্যকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ২৩ মে দিনটি ‘মোদি দিবস’ অথবা ‘জনকল্যাণ দিবস’ হিসেবে পালিত হওয়া উচিত। এমনটাই অন্তত মনে করছেন যোগ গুরু রামদেব।
৫৪২টি আসনের ৩০৩টিই গিয়েছে বিজেপির দখলে। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়েই আরও একবার দিল্লির মসনদে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির এই বিরাট জয়ের সামনে অনেকটাই ফিকে কংগ্রেস। তাই ২৩ মে অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণীয় রাখার দাবি তুললেন বাবা রামদেব। পতঞ্জলি পণ্যের উদ্বোধনে হাজির হয়ে তিনি বলেন, “২৩ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটি মোদি দিবস অথবা জনকল্যাণ দিবস হিসেবে উদযাপন করা উচিত।” রামদেবের মুখে বরাবরই মোদির প্রশংসা শোনা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাজে সদা সন্তুষ্ট যোগ গুরু। আর নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরও তাঁর মুখে মোদির জয়গান। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রামদেবের মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রবিবার তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারকে বড়সড় পদক্ষেপ করতে হবে। তৃতীয় সন্তানের ভোটাধিকার না দেওয়ার মতো কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রামদেবের এই মন্তব্যের পরই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
তাঁর মতে, শুধুমাত্র তৃতীয় সন্তান বলে সে ভোটাধিকার পাবে না, এমনটা একেবারেই করা উচিত নয়। ওয়েইসি বলেন, “অসাংবিধানিক মন্তব্য করার থেকে কোনও ব্যক্তিকে আটকানোর কোনও আইন নেই ঠিকই, কিন্তু বুঝতে পারছি না রামদেবের কথার এত গুরুত্ব কেন দেওয়া হচ্ছে?” রামদেবের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদিকেও একহাত নেন ওয়েইসি। তাঁর কথায়, মোদি জমানায় এদেশে সংখ্যালঘুরা ভয়ের পরিবেশে বাস করছে। “মোদির যদি মনে হয় মুসলিমরা ভয় পাচ্ছে, তাহলে কি তিনি তাঁর গুন্ডাদের আটকাবেন যারা গোরক্ষার নামে মুসলিমদের মারধর করছে?” প্রশ্ন ওয়েইসির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.