সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহুদিন ধরেই মথুরায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে (Krishna Janmabhoomi) নির্মিত শাহী ইদগাহ মসজিদ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছুদিন আগেই এই মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মামলা দায়ের করা হয় মথুরার একটি স্থানীয় দেওয়ানি আদালতে। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। তারপরেই সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মামলাকারীরা। সেই আপিলের ভিত্তিতে মথুরার জেলা আদালত (Mathura District Court) রায় দিয়েছে, এই মামলার শুনানি শুরু করতে হবে।
শিশু কৃষ্ণের বন্ধু হিসাবে মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী। তিনি বলেছেন, “ভগবান কৃষ্ণের উপাসক হিসাবে আমাদের অধিকার আছে এই স্থানের মন্দির সংরক্ষণ করার দাবি জানানোর। কৃষ্ণের জন্মভূমিতে বেআইনিভাবে এই মসজিদ তৈরি হয়েছিল।” মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৭০ সাল নাগাদ ওই মসজিদ তৈরি করা হয়। সেই প্রসঙ্গে রঞ্জনা বলেছেন, “বহু বছর আগে আপস করে এই জমি ভাগ হয়েছিল। কিন্তু বেআইনিভাবে আপস করা হয়েছিল সেই সময়ে।”
মথুরার দেওয়ানি আদালত এই মামলা খারিজ করে দেয়। কারণ হিসাবে ১৯৯১ সালের প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ আইনের উল্লেখ করে আদালত। এই আইনে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট যে ধর্মস্থল যেভাবে উপাসনা ছিল, সেই চরিত্র বদল করা যাবে না। তবে রামজন্মভূমী-বাবরি মসজিদকে ওই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই কৃষ্ণ জন্মভূমি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য বারবার সরব হয়েছেন কৃষ্ণ জন্মভূমীতে মন্দির বানানো প্রসঙ্গে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০টি মামলা রয়েছে এই জায়গাটি নিয়ে। কোথাও বলা হয়েছে মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে, আবার কোথাও বলা হয়েছে এই স্থানে হিন্দুদের উপাসনা করতে দিতে হবে। সাম্প্রতিককালে জ্ঞানবাপী মসজিদের শিবলিঙ্গ পাওয়ার ঘটনার পরে ইদগাহ মসজিদেও ভিডিওগ্রাফির দাবি করে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, সবকটি মামলার সংযুক্তিকরণের পর হয়তো শুনানি হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.