সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরে ‘নমাজ জেহাদের’ পালটা এবার ইদগাহে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলেন চার যুবক। উত্তরপ্রদেশের বারসানা রোডের এই ঘটনায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও চার যুবকের দাবি, তাঁরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই কাজ করেছেন। সে কথা মানতে নারাজ পুলিশ। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট করছিলেন অভিযুক্তরা।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বারসানা রোডের ইদগাহে চার যুবক হনুমান চল্লিশা পড়তে শুরু করেন। সঙ্গে জয় শ্রীরাম ধ্বনিও দেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ হাজির হয়। চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম সৌরভ, রাঘব মিত্তাল, কানহা ও কৃষ্ণ ঠাকুর। যদিও চার যুবকের দাবি, তাঁরা সম্প্রীতির বার্তা দিতে গিয়েছিলেন। নন্দ বাবা মন্দিরে যেমন নমাজ পড়ে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়েছিল। তেমনটাই তাঁরা করতে চেয়েছিলেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে মথুরার এসএসপি গৌরব গ্রোভার বলেন, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। যে বা যারা আইন ভাঙবে বা আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট করবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক এসআর মিশ্র। তাঁর কথায়, মন্দির নগরীর শান্তিরক্ষার সম্পূর্ণ দায়িত্ব প্রশাসনের।
‘লভ জিহাদ’ থেকে শুরু করে ‘জমি জিহাদ’। সম্প্রতি, মুসলিম মৌলবাদের এই দুই অস্ত্রের ‘প্রয়োগ’ নিয়ে সরব হয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। এবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে সামনে এসেছে ‘মন্দির জিহাদ’। কয়েকদিন আগে মথুরার একটি মন্দিরে জোর করে নমাজ পড়ার ঘটনায় ‘মন্দির জিহাদের’ অভিযোগ এনে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নন্দ বাবা মন্দিরের পুরোহিত।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ফয়জল খান নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মথুরার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার শীর্ষচন্দ্র জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফয়জলকে। মন্দির কাণ্ডের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায়ও শামিল হয়েছিল ধৃত। ওই মন্দিরের পুরোহিত কানহা গোস্বামী জানিয়েছেন, মন্দিরে ঢুকে রামচরিত মানস থেকে বেশ কয়েকটি লাইন শোনায় আফজল। বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সাধুর সঙ্গে নিজের ছবিও দেখায় সে। ফয়জলের মুখে শ্লোক শুনে রীতিমতো খুশি হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তারপরই মন্দিরের এক নির্জন স্থানে গিয়ে ফয়জল ও চাঁদ মহম্মদ নামের তার সঙ্গী বিনা অনুমতিতে নমাজ পাঠ শুরু করে। তাদের সঙ্গে আসা আলোক রতন ও নীলেশ গুপ্তা নামের আরও দুই ব্যক্তি নমাজ পড়ার দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করে। পুরোহিত আরও জানান। মন্দিরে ভিনধর্মের মানুষের প্রবেশ নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এরা পবিত্র স্থানটির মহিমা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.