Advertisement
Advertisement
Jharkhand

‘কম নম্বর দেওয়ায় পরীক্ষায় ফেল’, অঙ্কের শিক্ষককে গাছে বেঁধে বেধড়ক পেটাল পড়ুয়ারা

ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Math Teacher Tied To Tree Thrashed By Students For Giving Poor Marks in Jharkhand | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:August 31, 2022 4:34 pm
  • Updated:August 31, 2022 6:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাস নাইনের অঙ্ক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষককে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) একটি স্কুলের পড়ুয়ারা। তারা একই শাস্তি দিল স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মীকেও, যেহেতু ওই রেজাল্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করেছিল সে। দুমকার (Dumka District) স্কুলের এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে।

দুমকার ওই শিডিউল ট্রাইব রেসিডেন্সিয়াল স্কুলটিতে (Tribe Residential School) সোমবার এই ঘটনা ঘটে। শনিবার ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল (harkhand Academic Council) ক্লাস নাইনের ফল ঘোষণা করে। দেখা যায় স্কুলের ৩২ জন ছাত্রের মধ্যে ১১ জন ডিডি (DD) গ্রেড পেয়েছে। ডিডি মান আসলে অকৃতকার্যের সমতুল্য। ওই রেজাল্ট দেখেই ক্ষেপে যায় ফেল করা ছাত্ররা। তাঁদের অভিযোগ, অঙ্কের শিক্ষক সুমন কুমার (Suman Kumar) অঙ্ক পরীক্ষার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় কম নম্বর দেন, সেই কারণেই তারা ফেল করেছেন। এই কারণেই তারা সুমন কুমার ও অশিক্ষক কর্মী সোনেরাম চাউড়েকে (Soneram Chaure) গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তফসিলি জাতির ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারকে পুড়িয়ে মারার হুমকি, কাঠগড়ায় কর্ণাটকের মন্ত্রী]

তবে স্থানীয় গোপিকান্দা থানার পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ ভোক্তা (Nityanand Bhokta) জানিয়েছেন, এই ঘটনায় স্কুল বা আক্রান্ত শিক্ষক কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তিনি বলেন, “ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরে আমি অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলাম, কিন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ তা খারিজ করে দিয়ে জানায় এতে ছাত্রদের কেরিয়ারের ক্ষতি হয়ে যাবে।”

[আরও পড়ুন: ইপিএফের নিয়মে বড়সড় রদবদলের প্রস্তাব, উপকৃত হবেন বহু চাকরিজীবী]

এদিকে ঘটনার পর গোপিকান্দার বিডিও (BDO) অনন্ত ঝা (Ananta Jha) স্কুল যান। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, স্কুলে ২০০ ছাত্র রয়েছে, অধিকাংশ ছাত্র জড়িত শিক্ষক হেনস্তায়। অনন্ত ঝা বলেন, “ওই শিক্ষক আগে প্রধান শিক্ষকের পদে ছিলেন। অজ্ঞাত কারণে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। হতে পারে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। শান্তি বজায় রাখার জন্য দু’দিনের জন্য নবম ও দশম শ্রেণির ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত হবে।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement