ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যা মামলা চূড়ান্ত রায়ের আগে ঐতিহাসিক রায় দিল সর্বোচ্চ আদালত। নমাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়া আবশ্যিক কিনা? জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে হওয়ার একটি মামলার রায়দান ছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস নাজিরের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল ইসলামে নমাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। সরকার চাইলেই মসজিদের জমি অধিগ্রহণ করতে পারে।
এর আগে ১৯৯৪ সালে এই সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল ইসলামে উপাসনার জন্য মসজিদ অপরিহার্য্য নয়। সেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করে ইসলামিক সংগঠনগুলি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায় পরিবর্তন করল না। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, উপাসনার জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়। নমাজ ইসলামের অপরিহার্য অংশ। যে কোনও ধর্মেই উপাসনা এবং উপাসনাস্থল দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেন্দ্র চাইলে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে মসজিদের জমি অধিগ্রহণও করা যাবে। শুধু মসজিদের ক্ষেত্রে নয়, মন্দির বা চার্চের ক্ষেত্রেও এই রায় প্রযোজ্য। চূড়ান্ত রায় নিয়ে অবশ্য বিচারপতিদের মধ্যে দ্বিমত ছিল। বিচারপতি মিশ্র এবং ভূষণ যে রায় দিয়েছেন সেই রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিচারপতি নাজির। তিনি আলাদা করে মামলার রায়দান করবেন। কিন্তু দুই বিচারপতির ঐক্যমতের ভিত্তিতে চূডান্ত রায় স্থির করা হয়। যদিও বিচারপতি আজিজের মতে, এই মামলা চূড়ান্ত রায়ের জন্য আরও বড় বেঞ্চে পাঠানো উচিত।
অনেকে মনে করছেন, এই রায়ের প্রভাব মূল অযোধ্যা মামলায় পড়তে পারে। সরকারের কাছে মসজিদের জমি অধিগ্রহণের ক্ষমতা চলে এলে সহজেই রাম মন্দির তৈরি করতে পারে বিজেপি সরকার। তাছাড়া, রায়ে বলা আছে কোনও মসজিদের বা মন্দির যদি বিশেষ ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকে তাহলে তা অধিগ্রহণ করার আগে বিশেষ নজর রাখতে হবে কেন্দ্রকে। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই রায়ের প্রভাব অযোধ্যার মূল মামলায় পড়বে না। আগামী ২৯ তারিখ থেকে শুরু হবে মূল মামলার রায়দান। যদিও বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দাবি, এই রায়ের ফলে মন্দির তৈরির রাস্তা খুলে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.