সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যাংগং হ্রদ এলাকায় আরও ক্ষমতা বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনা। আকাশ ও স্থলপথের পর এবার জলপথেও বাড়ছে নিরাপত্তা। মোতায়েন হচ্ছে নৌবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো বাহিনী (মারকোস)। এমনকী, প্যাংগং হ্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ছে বোটের সংখ্যাও।
অশান্তির সূত্রপাতের সময় থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে বায়ুসেনার গার্ড অপারেটিভ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। এবার তাঁদের সঙ্গে যোগ হতে চলেছে মারকোস (MARCOS)। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাহিনীর ক্ষমতা আরও বাড়ছে।
নৌসেনার বিশেষ কম্যান্ডোদের প্যাংগং (Pangong Lake) সীমান্তে মোতায়েন করার উদ্দেশ্য, তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি। প্রবল শীতে কাজ করার অভিজ্ঞতাও হবে নৌসেনার। সরকারের এক শীর্ষ কর্তা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “এপ্রিল-মে থেকে প্যাংগং হ্রদের কাছে যেখানে ভারতীয় এবং চিনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি হয়েছিল, সেখানে ‘মারকোস’ মোতায়েন করা হয়েছে।”
পাশাপাশি, প্যাংগং হ্রদে কড়া নজর রাখতে অত্যাধুনিক বোট ও পরিকাঠামো পাঠানো হচ্ছে বলেও খবর। যাতে হ্রদের বিভিন্ন অংশে কড়া নজর রাখা যায়। কারণ, চিনা বাহিনী জলপথেও টহল দিতে দেখা গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। পালটা মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকছে ভারতীয় নৌবাহিনীও।
গত মার্চ মাস থেকেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর পারে আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল চিনা বাহিনী (China)। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে আগস্ট ২৯ ও ৩০ তারিখে। একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) অবস্থান বদলে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করতে এগিয়ে আসে প্রায় ২০০ চিনা সৈনিকের একটি দল। তবে এবার প্রস্তুত ছিল ভারতীয় বাহিনী। আগ্রাসন প্রতিহত করে এতদিন পর্যন্ত ফাকা পড়ে থাকা প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলগুলির দখল নিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা। বেগতিক দেখে পিছিয়ে যায় লালফৌজ। ফলে ওই এলাকায় অবস্থান মজবুত হয়ে গিয়েছে ভারতীয় বাহিনীর। তাই সীমান্তে চাপ বাড়াতে এবার প্যাংগং হ্রদের উত্তর পাড়ের ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে বিপুল ফৌজ মোতায়েন শুরু করেছিল বেজিং। প্রবল শীতেও ওই এলাকার নিরাপত্তায় ঢিলে দিতে রাজি নয় ভারতীয় সেনা। তাই এবার নৌসেনাও মোতায়েন করছে তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.