সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে একে ৭৭ জনকে খুন। সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদীদের হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছিল তার নাম। সুকমা জেলাপুলিশের অন্যতম মাথাব্যাথা সেই ‘আইইডি স্পেশ্যালিস্ট’ মহেশ কোরসা অবশেষে খতম। গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ছত্তিশগড়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন মাওবাদীর। সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম এই কোরসা। তার মৃত্যু মাও-বিরোধী অভিযানে বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখছে প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সি কোরসা ২০১৭ থেকে সুকমা পুলিশকে কার্যত নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছিল। একের পর এক নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীকে নিখুঁত ছকে খুন করে গিয়েছে সে। আইইডি বিস্ফোরক সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান ছিল তার। নিজে বিস্ফোরক বানিয়ে তা ব্যবহার করত পুলিশের বিরুদ্ধে। এভাবে ২০১৭ সালে ২৫ জন, ২০২০ সালে ১৭ জন ও ২০২১ সালে কম করে ২২ হন পুলিশকে খুনে অভিযুক্ত ছিল কোরসা। এভাবে রীতিমতো ফাঁদে ফেলে ৭৭ জন নিরাপত্তা কর্মীদের খুন করেছে সে। পাশাপাশি আরও বহু হত্যাকাণ্ডে পরোক্ষ ভাবে যুক্ত ছিল এই মাওবাদী। তার মৃত্যুতে নিশ্চিতভাবে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে ছত্তিশগড় পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির কমান্ডার ছিল মহেশ কোরসা। ২০১০ সালে মাওবাদী সংগঠনে যোগ দেয় সে। ২০১৫ সালে এক এসটিএফ কর্মী খুনে নাম ওঠে তার। ২০১৭ সালের মধ্যে আইইডিতে ওস্তাদ হয়ে ওঠে অভিযুক্ত। এর পর গত ৮ বছর ধরে গোটা বস্তার রেঞ্জের নানা প্রান্তে একের পর এক বিস্ফোরণে নাম উঠে এসেছে তার। বহুবার নিরাপত্তাবাহিনীর একে ৪৭ রাইফেল লুঠ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ একাধিকবার তার বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও প্রতিবার কোনও না কোনওভাবে বেঁচে যায় কোরসা। অবশেষে খতম হল বস্তারের মাথাব্যাথা। সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চৌহান জানান, গত ৮ জানুয়ারি ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং এলিট কম্যান্ডো ব্যটেলিয়নের যৌথ দল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিল। সেই অভিযানেই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম হয় মহেশ কোরসা নামের এই মাওবাদী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.