সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জোড়া মাওবাদী হানায় রক্তাক্ত ছত্তিশগড়। রাজধানী রায়পুর থেকে ২৫০ কিলোমিটারের দূরত্ব। ঘন জঙ্গলে ঢাকা নারায়ণপুরে মাওবাদীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন চার পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় আরও সাত জওয়ানের জখম হওয়ার খবর মিলেছে। অপর মাও হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বিজাপুর জেলার বস্তার জঙ্গলে। সেখানে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই ঘটনায় আরও দুই জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন।
[বাঙালি জঙ্গি সিদ্ধার্থকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা আমেরিকার]
পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকজন মাওবাদী জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ছত্তিশগড়ে নারায়ণপুর জেলায় যায় যৌথবাহিনী। ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের যে দলটি হামলার মুখে পড়েছে, সেটি ওরছা থেকে অবুঝমাঢ়ের ভিতর দিকে ঢুকছিল। পথেই দলটি মাওবাদী হামলার মুখে পড়ে। সূত্রের খবর, নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র শুক্লার নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর জওয়ানদের দেখেই প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। পরে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। পালটা গুলি চালায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর জওয়ানরা। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে গুলি বিনিময়। মাওবাদীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন দুই সাব ইনস্পেক্টর। মৃত্যু হয় আরও দুই কনস্টেবলের। যৌথ বাহিনীর সাত জওয়ানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রায়পুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যৌথ বাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল মাওবাদীরা। ফলে আগে থেকেই ৩০০ জনের মাও গেরিলা বাহিনী তৈরি ছিল। ফলে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়ে যৌথবাহিনী। উল্লেখ্য, ২০১৭-এর এপ্রিল মাসে বস্তার অঞ্চলে হামলা চালিয়ে ২৫ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে হত্যা করে মাওবাদীরা। গত দু’দশকে গোটা দেশে মাওবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১২,০০০ মানুষ। শহিদ হয়েছেন ২৭০০ জন নিরাপত্তা কর্মী। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে এই ১২,০০০ নিহতের মধ্যে ৯৩০০ জনই মারা গিয়েছেন পুলিশের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার অপরাধে অথবা যৌথবাহিনী-মাওবাদী গুলির সংঘর্ষে। তবে রিপোর্ট বলছে, মাওবাদী হামলা আগের তুলনায় গত তিন বছরে অনেক কমে এসেছে।
[তাণ্ডব চালিয়ে স্টেশনে আগুন, মাওবাদীদের হাতে অপহৃত সহকারী স্টেশন মাস্টার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.