সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যে ভোটের মুখেই বড়সড় রদবদল হলে সিপিআই(মাওবাদী)-র সাংগঠনিক স্তরে। অপেক্ষাকৃত নরমপন্থী মাও নেতা গণপতির পরিবর্তে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে এলেন আগ্রাসী মানসিকতার নেতা বাশ্বরাজ। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা, এবং শক্তিহ্রাস নিয়ে চাপে ছিলেন গণপতি। সংগঠনে প্রভাব বাড়ছিল নম্বর ২ বাশ্বরাজের। এই পরিস্থিতিতে নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন গণপতি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন আগ্রাসী নেতা কেশব রাও ওরফে বাশ্বরাজ।মাও নেতৃত্বে এই রদবদলের কথা উঠে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের তদন্তে। উল্লেখ্য, পুলিশের খাতায় দুই নেতাই মোস্ট ওয়ান্টেড। গণপতির সন্ধান দিলে ১৫ লক্ষ এহং বাশ্বরাজের পিছনে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে পুলিশ।
ক্ষমতায় অভিষেকের আগেই অবশ্য নিজে মানসিকতা পরিষ্কার করে দিয়েছেন বাশ্বরাজ। গত সেপ্টেম্বর মাসেই নক্সালদের গুলিতে বিশাখাপত্তনমে নিহত হন টিডিপি বিধায়ক কে সর্বেশ্বর রাও ও প্রাক্তন বিধায়ক এস সোমা। বেশ কিছুদিন শান্ত থাকার পর হঠাৎ করেই আগ্রাসী হয়ে ওঠে মাওবাদীরা। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘কমরেড’দের এই আচরণে নেপথ্যে রয়েছে মাও নেতা বাশ্বরাজ। সামনেই ভোট ছত্তিশগড়-সহ পাঁচ রাজ্যে। এর মধ্যে ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানায় প্রভাব রয়েছে মাও সংগঠনগুলির। স্বাভাবিকভাবেই, নির্বাচনে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
মাওবাদী অধ্যূষিত অঞ্চলে নির্বাচনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নজিরবিহীনভাবে হিংসা এড়াতে ছত্তিশগড়ে মাও অধ্যূষিত এলাকার ১৮ টি আসনের জন্য একটি আলাদা দফায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পদক্ষেপেই বোঝা যায় ভোটে মাও হামলা নিয়ে কতটা চিন্তিত প্রশাসন। এবার কিছুটা হলেও লাঘব হল সেই চিন্তা। কারণ ভোটের মুখে মূল স্রোতে ফেরার লক্ষ্যে ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ করলেন ৬২ জন মাও নেতা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার সংগঠনের শীর্ষ স্তরেও কাজ করেছেন। মাওবাদী ভাবধারা ‘সারবত্তাহীন, হিংসায় মদত দেয়’-তাই ভুল শুধরে মূলস্রোতে ফিরতে চেয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ৬২ জন মাওবাদী গেরিলা। এতে সংগঠনটির কিছুটা হলেও শক্তিক্ষয় হয়েছে, এবার বাশ্বরাজের নেতৃত্বে, মাওবাদীরা পালটা প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.