Advertisement
Advertisement

অবিরাম তুষারপাত ও বর্ষণ, অমরনাথের যাত্রাপথে আটকে অসংখ্য যাত্রী

দ্বিতীয় দফায় শেষনাগ যাত্রাও বানচাল।

Many pilgrims trapped on the way of Amarnath
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 1, 2018 1:01 pm
  • Updated:July 1, 2018 1:01 pm  

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, চন্দনওয়াড়ি: বুঝি মনস্থ করেছেন, আড়ালেই থাকবেন। তাই ভক্তদের সামনে এবার নিজেকে কিছুতেই মেলে ধরতে চাইছেন না অমরনাথ। এবং প্রকৃতিও যেন তাঁর ইচ্ছায় তাল মেলাচ্ছে। পদে পদে দুর্যোগ। সব মিলিয়ে এবারের অমরনাথ যাত্রা প্রায় বানচাল হয়ে যাওয়ার উপক্রম!

ভূস্বর্গ কাশ্মীরের পহেলগাঁও পার করেই চোখে পড়বে এক সুন্দর সাজানো গ্রাম। শান্ত লিডার নদী। অমরনাথ ইস্তক সঙ্গী সে। নিজের হাতেই প্রকৃতি যেন নিজেকে সাজিয়েছে এই বিরাট এলাকাজুড়ে। তার যতটুকু চোখে দেখা যায়, ফিরে এসে প্রায় কিছুই বর্ণনায় শেষ করা যায় না। যাঁরা ওই পথে আরও এগিয়েছেন, তাঁরা জানেন, সেই রাস্তায় চন্দনওয়াড়ি পার করে খাড়াই পিসু টপ। সেখান থেকে আরও ১২ কিলোমিটার গেলে শেষনাগ। সেখানে কিছু বিশ্রাম সেরে লেকের ওপারে আরও দুর্গম পথ। তার পরে মহাগণেশ টপ পেরিয়ে সামনেই পুল। লিডার নদীর উপর দিয়ে সেই পুল পার করেই অমরনাথের গুহা। গোটা ৪৩ কিলোমিটারের রাস্তাটায় প্রকৃতির রূপ যেন পুংকেশরের মতো মুখ তোলে। কেউ পরাগরেণু ছড়িয়ে দিয়ে যায় তাতে। চন্দনওয়াড়ির পর থেকে সেই গোটা রাস্তাটাতেই যেন ধ্বংসলীলা শুরু হয়েছে।

Advertisement

বৃষ্টিতে স্থগিত অমরনাথ যাত্রা, অস্থায়ী তাঁবুতে জারি কড়া নজরদারি ]

কাশ্মীরের চেনাব নদী ভরে গিয়েছে। বন্যার সতর্কতা জারি হয়েছে। জল উপচে ইতিমধ্যে অনন্তনাগ প্লাবিত। শনিবার বিকেলে এই চন্দনওয়াড়িতে বসেই শুনতে পাচ্ছি, মঙ্গলবার রাতের পর থেকে অনবরত বৃষ্টি আর তুষারপাতে পরের পর রাস্তায় ধস নামতে শুরু হয়েছে। শুক্রবার প্রথম যাঁরা গুহার সামনে দাঁড়িয়ে তুষারশুভ্র নটরাজ দর্শনের সৌভাগ্য পেয়েছিলেন, আচমকা তুষারপাত শুরু হওয়ায় আটকে পড়েছেন তাঁরাও। প্রাণ হাতে যে ক’জন ফিরতে পেরেছেন, তাঁদের মুখেই শোনা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি আর তুষারপাতের চাপ সহ্য করতে না পেরে ভেঙে পড়েছে সেই পুল। ফুঁসছে লিডার নদীও। ‘হিউম্যান চেন’ বানিয়ে ক’জনকে উদ্ধার করে এনেছে সেনা।

আতঙ্কের আবহে অমরনাথ যাত্রা শুরু পূণ্যার্থীদের প্রথম দলের ]

এখানেই শেষ নয়, চন্দনওয়াড়ির পরের নুনওয়া ক্যাম্প থেকে শনিবার যে দ্বিতীয় রাউন্ড যাত্রীদের শেষনাগের দিকে রওনা করানোর কথা ছিল। ক্যাম্পে আটকে পড়েছেন তাঁরাও। ২৮ তারিখ থেকে সেখানে নতুন শুষ্ক বরফ পড়া শুরু হয়েছে। সঙ্গী দফায় দফায় বৃষ্টি। বরফ পুরনো হলে তা জমে যায়। তার উপর দিয়ে অনায়াসে হেঁটে যাওয়া যায়। কিন্তু শুষ্ক বরফে হাঁটা একেবারেই মুশকিল। বরফে ফেঁসে যাওয়ার ভয় তো থাকেই। সবচেয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় যখন শুষ্ক বরফে অক্সিজেন কমতে থাকে। নুনওয়া ক্যাম্পে এখন সেই অবস্থা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement