সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মোদির দিকে আঙুল তুললে হাত কেটে নেওয়া হবে’। প্রধানমন্ত্রীর স্তুতি গাইতে গিয়ে এভাবেই বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন বিহারের বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দ্রুত এর জবাব পেয়ে গেল গেরুয়া শিবির। প্রতিক্রিয়া এল এমন একজনের থেকে যিনি বরাবরই পর্দার আড়ালে থাকেন। আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ি দেবী পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন প্রধানমন্ত্রীর গলা ও হাত কাটার জন্যও বিহারের অনেকে তৈরি। তবে তাঁর এহেন বিতর্কে ফের একরাশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
[ডুডলে ভারতীয় প্রতিভাবান নারীকে শ্রদ্ধা গুগলের, জানেন কে ইনি?]
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে ফের নির্বাচিত হন লালুপ্রসাদ। এই নিয়ে দশবার। স্বামীর হাতে ব্যাটন ওঠার দিনে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, ‘বিজেপির কিছু নেতা বলে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে আঙুল তোলা হলে সে আঙুল ভেঙে দেওয়া হবে ও হাত কেটে দেওয়া হবে। আমি তাঁদের খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করছি। ওরা বিহারবাসীর আঙুল ভেঙে ও হাত কেটে আগে দেখাক। বিহারের মানুষ তাহলে কি চুপ করে থাকবেন? ওদের হাত কেটে দেওয়ার জন্য আমাদের এখানে অনেকেই অপেক্ষা করছেন। নরেন্দ্র মোদির হাত ও গলা কাটার জন্য তৈরি বিহারের অধিকাংশ বাসিন্দা।’ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিত্যানন্দ রায়। তিনি বলেন, ‘যারা নরেন্দ্র মোদির দিকে হাত দেখাচ্ছেন তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে। আর দরকার হলে হাত কিংবা আঙুল কেটে নেওয়া হবে।’ হাত এবং আঙুল কেটে নেওয়ার জবাবে গলা ও হাত কাটার হুমকিকে তপ্ত বিহারের রাজনীতি। গত কয়েক মাসে আয়কর হানা সিবিআই মামলায় জেরবার লালু ও তাঁর পরিবার। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা কেন্দ্রের সাঁড়াশি চাপে ব্যতিব্যস্ত যাদব পরিবার বিজেপির দিকে তোপ দাগার জন্য একটা সুযোগ খুঁজছিল। নিত্যানন্দ রায় সেই পরিস্থিতি তৈরি করে দেন। তবে অন্তরালে থাকা লালু-পত্নীর এমন ঝাঁজাল আক্রমণ অনেকের কৌতুহল বাড়িয়েছে। তার এই মেজাজে চাঙ্গা আরজেডি কর্মীরা।
[নজরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া, বন্ধ হচ্ছে চেক বুকের ব্যবহার?]
নিজের বক্তব্যের জন্য পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন নিত্যানন্দ। বলেছিলেন, ‘যারা দেশবিরোধী এবং গরিববিরোধী তারাই ছিলেন নিশানায়। আমি মনে করি মোদিজী গরিবদের মসিহা। তিনি দুর্নীতি, অভাব, কালো টাকার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন। আমি বলতে চেয়েছে যারা এর সঙ্গে একমত নন, তাদের দেশে জায়গা থাকার অধিকার নেই।’ কিন্তু তাঁর এ সাফাই মানতে নারাজ রাবড়ি দেবী। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, সমস্তরকম মামলা-মোকদ্দমার জন্য তৈরি তিনি ও তাঁর পরিবার। কিন্তু বিহার ছেড়ে কোথাও যাবেন না তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে বিহারে আসতে হবে সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের।
[বিমানসেবিকার সঙ্গে অভব্য আচরণ, ক্ষমা চাইতে কী করল অভিযুক্ত?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.